বিদেশিদের জন্য বাংলাদেশের বিনিয়োগ নীতিমালা অত্যন্ত আকর্ষণীয়। বিশেষ করে পাট, চামড়া, কৃষি, ফ্রোজেন ফিশ, হ্যান্ডিক্র্যাফট ও হোম টেক্সটাইল খাতে বিনিয়োগের মাধ্যমে শতভাগ মূল্য সংযোজনের সুযোগ রয়েছে। 

এ কারণেই সংযুক্ত আরব আমিরাতের উদ্যোক্তাদের পরবর্তী বিনিয়োগ গন্তব্য হিসেবে বাংলাদেশকে বেছে নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন।

বৃহস্পতিবার সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাজধানী দুবাইয়ে প্যান এশিয়া গ্রুপ ও বিডা আয়োজিত বাংলাদেশ ইকোনমিক ফোরামে তিনি এ আহ্বান জানান।

এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, ২০২০-২১ অর্থবছরে সংযুক্ত আরব আমিরাতে বাংলাদেশের রপ্তানি ছিল ৫০ কোটি ডলার। বিপরীতে আমদানির পরিমাণ ছিল ১৩০ কোটি ডলার। অন্যদিকে বাংলাদেশে বিনিয়োগকারী দেশ হিসেবে সংযুক্ত আরব আমিরাতের অবস্থান ১৩তম। দুই দেশের বাণিজ্য ও বিনিয়োগের এ পরিসংখ্যানকে আরও সমৃদ্ধ করার সুযোগ রয়েছে।
 
ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে, দক্ষিণ এশিয়া ও আসিয়ানের দেশগুলোর জন্য বাংলাদেশ গেটওয়ে হিসেবে কাজ করছে উল্লেখ করে ব্যবসায়ী নেতা জসিম উদ্দিন বলেন, খুব কাছে অবস্থিত হওয়ায় বাংলাদেশে বিনিয়োগ করে চীনের বাজার ধরার সুযোগ রয়েছে। এছাড়াও ১৭ কোটি জনসংখ্যার বাংলাদেশে অভ্যন্তরীণ বাজারও বিশাল। 

তিনি বলেন, শিল্প কারখানার জন্য পর্যাপ্ত বিদ্যুৎ উৎপাদনেও স্বয়ংসম্পূর্ণ বাংলাদেশ। দেশজুড়ে একশটি অর্থনৈতিক অঞ্চল, ২৮টি আইটি পার্ক, খাতভিত্তিক ক্লাস্টার পার্ক, আটটি ইপিজেড ও ট্যুরিজম পার্ক রয়েছে। বাংলাদেশ এখন বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য অন্যতম আকর্ষণীয় গন্তব্য।

জ্বালানি, বন্দর ও লজিস্টিকস, এমএসএমই, আইসিটি, তৈরি পোশাক শিল্প, কৃষি প্রক্রিয়াজাত ও হালাল খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্প, প্লাস্টিক, ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিক্স, হালকা প্রকৌশল, ব্যাংক-বিমা, পাট, চামড়া, পর্যটন, দক্ষতা উন্নয়ন খাতে দুদেশের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা বাড়ানোর আহ্বান জানান জসিম উদ্দিন।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মোমেন, প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম, বিএসইসির চেয়ারম্যান প্রফেসর শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম ও দুবাইয়ের বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিলের সভাপতি মাহতাবুর রহমান নাসির।

এসআই/আরএইচ