চিনির দাম নিয়ন্ত্রণে ১৫ মে পর্যন্ত শুল্ক ছাড়
দাম স্বাভাবিক রাখতে সব ধরনের অপরিশোধিত চিনি আমদানিতে রেগুলেটরি ডিউটি বা নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক (আরডি) ৩০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২০ শতাংশ করেছিল জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। ২০২১ সালের ১৪ অক্টোবর শুল্ক কমিয়ে বাজারে দাম নিয়ন্ত্রণ করে সরকার, যা ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বলবৎ ছিল। তবে বাজারে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখা যাওয়ায় এবার শুল্ক ছাড়ের মেয়াদ ১৪ মে পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিমের সই করা এবারের প্রজ্ঞাপনে এমন আদেশ ১ মার্চ থেকে কার্যকর ধরা হয়েছে। রোববার (৬ মার্চ) এনবিআরের জনসংযোগ দপ্তর সূত্র এসব তথ্য জানিয়েছে।
বিজ্ঞাপন
চিনি আমদানিতে বর্তমানে টনপ্রতি তিন হাজার টাকা স্পেসিফিক ডিউটি, ১৫ শতাংশ ভ্যাট এবং উৎপাদন পর্যায়ে ৩ শতাংশ আগাম আয়কর বিদ্যমান রয়েছে। এবারের প্রজ্ঞাপনেও আরডি কমানোর আদেশ বলবৎ থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
এর আগে গত বছরের ৩ ফেব্রুয়ারি এক আদেশে আমদানি পর্যায়ে আগাম কর ৫ শতাংশ প্রত্যাহার করেছিল এনবিআর। গত ৯ সেপ্টেম্বর নতুন করে চিনির দাম নির্ধারণ করে সরকার।
চিনির দাম অস্বাভাবিক বেড়ে যাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে তখন মিল মালিকদের সঙ্গে আলোচনা করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। সেসময় প্রতি কেজি খোলা চিনি ৭৪ টাকা এবং প্যাকেটজাত চিনি ৭৫ টাকা বেঁধে দেওয়া হয়েছিল।
কিন্তু বর্তমানে বাজারে চিনির দর কেজিতে ৮০ টাকা ছাড়িয়েছে, যা মাসখানেক আগেও ৭০ টাকা ছিল।
আরএম/এসএসএইচ