রাঙ্গামাটিতে কিশোরীকে (১৪) ধর্ষণের দায়ে মো. ফারুক (৪০) নামে এক ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাকে পাঁচ লাখ লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে তিন বছরের সশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়েছে। 

মঙ্গলবার (২২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাঙ্গামাটি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক এ ই এম ইসমাইল হোসেন এ রায় দেন। 

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০২০ সালের জুন মাসের শেষের দিকে মামলার বাদী তার সপ্তম শ্রেণিতে পড়ুয়া মেয়েকে বাড়িতে রেখে পার্শ্ববর্তী বাজারে যান। ফারুক সম্পর্কে বাদীর আপন ফুফাতো ভাই। তাদের বাড়িও পাশাপাশি। আত্মীয়তার সুযোগে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ফারুক বাদীর কিশোরী মেয়ের সঙ্গে দৈহিক সম্পর্ক গড়ে তোলে। এতে মেয়েটি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে এবং ২০২১ সালের ২ ফেব্রুয়ারি একটি কন্য সন্তান প্রসব করে। শিশুটি তিন দিন পর হাসপাতালে মারা যায়। পরে ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে প্রমাণিত হয়, ফারুকই শিশুটির বাবা। এ ঘটনায় মেয়েটির মা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন। 

রাঙ্গামাটি জজ কোর্টের বিশেষ পাবলিক প্রসিকিউটর রফিকুল ইসলাম বলেন, ফারুকের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রামাণিত হওয়ায় তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। জরিমানা অনাদায়ে তিন বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। আসামিকে আগামী ৬০ দিনের মধ্যে জরিমানার অর্থ বিধি মোতাবেক জমাদানের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। আসামি কর্তৃক পরিশোধ করা জরিমানার অর্থ ভুক্তভোগীর পরিবারকে ক্ষতিপূরণ হিসেবে দেওয়া হবে। এই রায়ের মাধ্যমে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা হয়েছে।

আসামিপক্ষের আইনজীবী সুষ্মিতা বলেন, এই রায়ে আমরা সন্তুষ্ট নই। আমরা উচ্চ আদালতে আপিল করব। 

মিশু মল্লিক/আরএআর