কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় সজনী (২৫) নামে এক নারীর দগ্ধ মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৫টার দিকে উপজেলার বাহিরচর ইউনিয়নের ষোলদাগ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পেছনের একটি কলাবাগান থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

নিহত সজনী মিরপুর উপজেলার তালবাড়িয়া ইউনিয়নের রানখড়িয়া গ্রামের সিরাজুল ইসলামের মেয়ে ও ভেড়ামারা উপজেলার ষোলদাগ এলাকার সলিমুদ্দিনের ছেলে লালনের স্ত্রী। এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন নিহতের পরিবার। লাশ শনাক্ত করেন সজনীর মা সালেহা, পিতা সিরাজুল এবং চাচি আইরিন ।

নিহতের মা সালেহা বলেন, প্রায় ১৩ বছর আগে পারিবারিকভাবে লালনের সঙ্গে সজনীর বিয়ে হয়। তাদের সংসারে এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। কিছুদিন ধরে জামাই লালন আমার মেয়েকে নির্যাতন করত। তার অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে সজনী পালিয়ে বাবার বাড়ি চলে আসে। 

তিনি আরও বলেন, সেখান থেকে গত ১৬ ফেব্রুয়ারি লালন শ্বশুর বাড়ি গিয়ে স্ত্রীকে জোর করে নিয়ে আসেন। এরপর ১৭ ফেব্রুয়ারি রাতে মোবাইল ফোনে সজনীর মাকে লালন জানায়, সজনীকে পাওয়া যাচ্ছে না। একদিন পর আজ ১৯ ফেব্রুয়ারি সজনীর অগ্নিদগ্ধ লাশ পাওয়া যায়।

নিহতের পরিবারের অভিযোগ, সজনীর স্বামী তাকে পুড়িয়ে হত্যা করেছে। তদন্ত করে হত্যাকাণ্ডে জড়িত সবাইকে আইনের আওতায় এনে শাস্তি দেওয়া হোক। 

এ বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ভেড়ামারা-দৌলতপুর সার্কেল) ইয়াসির আরাফাত বলেন, শনিবার বিকেলে নিহতের পরিবারের সদস্যরা ভেড়ামারা থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করতে আসলে উদ্ধারকৃত মরদেহ দেখালে তাদের মেয়ে বলে শনাক্ত করেন। মরদেহটি ময়না তদন্তের জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে।

রাজু আহমেদ/আইএসএইচ