নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমান বলেছেন, চারিদিকে গন্ধ পাচ্ছি। আগের থেকেই আমি গন্ধ পাই এবং যা বলি তা হয়। জানি গতকাল গাজীপুরে কোথায় মিটিং হয়েছে। জানি নারায়ণগঞ্জে কোথায় মিটিং হয়েছে। এই নারায়ণগঞ্জে খান সাহেব ওসমান আলীর বাড়িতে আওয়ামী লীগের জন্ম হয়েছিল। আপনারা যদি খেলতে চান। আসেন খেলি, আমি খেলতে চাই। কারণ আমরা খেলতে খেলতে এই জায়গায় এসেছি। 

শনিবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে শহরের কালিরবাজারে জেলা সরকারি গ্রন্থাগারে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির ৪৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। 

শামীম ওসমান বলেন, আমার বিয়ের আগের দিন মা বলল বাসা থেকে বের হবে না। এমন সময় শুনলাম নেত্রীর ওপর গুলি হয়েছে। বসে থাকতে পারিনি। যা ছিল সেটা নিয়েই বের হলাম। পুলিশ চারদিক দিয়ে ঘিরে ফেলেছে। পরে আমি বললাম আজকে অ্যারেস্ট কইরেন না। কালকে আমার বিয়ে। পরে আমাকে ছেড়ে দেয়। বাচ্চা জন্মের সময় জেলে ছিলাম। আমাদের জন্মের সময় আমার বাবা জেলে ছিলেন। তাই আমাদের নিয়ে খেলতে আইসেন না। 

তিনি আরও বলেন, তিনটি কারণে আমি টার্গেট হয়েছিলাম। নারায়ণগঞ্জে একটা নিষিদ্ধ পল্লী ছিল। সেখানে ইজ্জত বিক্রি হত। নারায়ণগঞ্জে পুলিশ তখন পেত ৪৫ টাকা। ৫০টা মদের দোকান ছিল। ১৪ থেকে ১৫ হাজার লোক ছিল। আমি কাবা শরীফ ছুয়ে প্রতিজ্ঞা করেছিলাম।  আমি আপাকে বললাম- আমি এই শপথ করেছি। তিনি বললেন, তুমি করো। আমি বললাম- বাধা আসবে। তিনি বললেন- বাধা আসবেই। তখন সবাই মিলে সাড়ে তিন কোটি টাকা দিল। আমার বড় ভাই সেলিম ওসমান দিলেন দেড় কোটি টাকা। সেই টাকা দিয়ে তাদের পুনর্বাসিত করেছি। পতিতালয় উচ্ছেদ করা, গোলাম আজমকে নারায়ণগঞ্জে নিষিদ্ধ করা এবং যে রাতে ক্যু হবার কথা ছিল সেটি রুখতে সেদিন নির্দেশিত হয়ে লং মার্চ ঠেকিয়েছিলাম। এই তিনটি কারণে আমি টার্গেট হয়েছি। তারা নেই, কিন্তু তাদের তাবেদাররা এখনও আমাকে টার্গেট করছে।

শামীম ওসমান বলেন, চাষাঢ়ার হলটির নাম জিয়া হল ছিল না। সেটা টাউন হল ছিল। আমি সেটাকে মুক্তিযোদ্ধাদের নামে করেছিলাম। পরবর্তীকালে এসে আবার দেখলাম সেটা জিয়া হল। কারো নাম নিয়ে আমার কোনো আপত্তি নেই। এটা জেলা প্রশাসনের প্রপার্টি। এখানে কমিটি নেই, যারা ছিলেন মারা গেছেন। আমি চেয়েছিলাম এটা ওয়ান স্টপ সার্ভিস হবে। তারা সব কিছু এখানে পাবে। 

তিনি বলেন, একটা মানুষ কাজ করলেই প্রশান্তি হয় না। এখানে জেলা প্রশাসন আছে। তাদের ছাড়া আমি পারব না। সত্য লেখা সাংবাদিকদের দায়িত্ব। জনগনের ভোটে পাস করেছি, তাই কাজ করা আমাদের দায়িত্ব। নারায়ণগঞ্জের ৯০ শতাংশ কাজ আমাদের হাত দিয়ে এসেছে। তোলারাম কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয় করার জন্য পদত্যাগ করেছিলাম। ডিএনডির জন্য সংসদে মন্ত্রীকে বলেছিলাম- আমি পদত্যাগ করব, না হয় আপনি পদত্যাগ করবেন।

রাজু আহমেদ/আরএআর