মেঘনা নদীতে যাত্রীবাহী লঞ্চের ধাক্কায় বাল্কহেড ডুবে নিখোঁজের দুই দিন পর আবদুল মোতালেব (৫৫) নামে এক শ্রমিকের মরদেহ পাওয়া গেছে। শনিবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে মরদেহটি বাল্কহেডের ভেতর থেকে উদ্ধার করা হয়। 

এর আগে গত বুধবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) রাত পোনে ১১টার দিকে মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার সীমানা সংলগ্ন নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের চরকিশোরগঞ্জ এলাকায় মেঘনা নদীতে যাত্রীবাহী লঞ্চ সুরভী-৭ এর ধাক্কায় বালুবাহী বাল্কহেডটি ছয় শ্রমিকসহ ডুবে যায়। পাঁচ শ্রমিক সাঁতরে উপরে উঠতে পারলেও নিখোঁজ ছিলেন আবদুল মোতালেব। 

নিহত আবদুল মোতালেব ভোলার দৌলতখান উপজেলার বাসিন্দা। তিনি বাল্কহেডে শ্রমিকের কাজ করতেন। 

কলাগাছিয়া নৌ পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) মো. ইলিয়াস  বলেন, গত বুধবার রাতে দুর্ঘটনার পর থেকে নিখোঁজ ব্যক্তিকে উদ্ধারে অভিযান চালানো হয়। উদ্ধার অভিযানে নৌ পুলিশ, কোস্টগার্ড ও ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিরা কাজ করেন। আজ বিকেলে বাল্কহেডের ভেতর থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। মরদেহটি পরিবারের কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে। 

বাল্কহেড উদ্ধারের বিষয়ে তিনি বলেন, বাল্কহেডের অর্ধেকটা ভেঙে গেছে। বাকি অংশ বাল্কহেড থেকে বালু অপসারণ করে দেশীয় পদ্ধতিতে টেনে তোলার চেষ্টা করছে মালিকপক্ষ। 

ব.ম শামীম/আরএআর