কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, নির্বাচনী ইশতেহার অনুযায়ী আমাদের সরকার কৃষকদের স্বাবলম্বী করে গড়ে তুলতে কাজ করে যাচ্ছে। আমরা কৃষিকে বাণিজ্যিকীকরণ ও যান্ত্রিকীকরণে নিয়ে এসেছি। এ ছাড়া সরকার কৃষকের জীবনমানের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে। একজন কৃষক ১০০ টাকার কৃষিপণ্য রফতানি করলে তাকে আরও ২০ টাকা প্রনোদনা দেওয়া হচ্ছে।

মঙ্গলবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় দ্যা সিলেট চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির উদ্যোগে সিলেট থেকে কৃষিজাত পণ্য রফতানি ও বিনিয়োগ বিষয়ক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

এ সময় মন্ত্রী বলেন, সিলেট থেকে কৃষিপণ্য রফতানির সম্ভাবনা রয়েছে। এখান থেকে কমলালেবু ও আনারস রফতানি করা সম্ভব। এ ক্ষেত্রে গুড এগ্রিকালচার প্রাকটিস শুরু করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, সিলেটের অনেক জমি পতিত থাকে। এসব জমি কীভাবে চাষের আওতায় আনা যায়, সে লক্ষ্যে কাজ করতে হবে। এসব এলাকা ব্যবহার করে আমরা ভবিষ্যতে খাদ্য ঘাটতি মোকাবিলা করতে চাই।

সিলেটের ধান উৎপাদন বাড়ানোর জন্য কিছুদিন আগে আমরা সিলেটের জন্য ২২৬ কোটি টাকার একটি প্রজেক্ট অনুমোদন করেছি উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, আমাদের বিজ্ঞানীরা ধানের উন্নত জাত উদ্ভাবন করেছেন। বি-৮৯ জাতের ধান ১ বিঘা জমিতে ৩৩ মণ উৎপাদিত হয়। সিলেটে কৃষির সম্ভাবনা অপার। আমি কৃষিমন্ত্রী হিসেবে আপনাদের পাশে আছি।

এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- পররাষ্ট্র মন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী, সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, সিলেট-৩ আসনের সংসদ সদস্য হাবীবুর রহমান, সংরক্ষিত আসনের এমপি শামীমা শাহরিয়ার এবং সিলেট চেম্বারের সভাপতি তাহমিন আহমদসহ অন্যান্যরা।

মাসুদ আহমদ রনি/আরআই