এবার তামান্নার সঙ্গে ফোনে কথা বললেন শিক্ষামন্ত্রী
এবার অদম্য শিক্ষার্থী তামান্না আক্তার নূরার সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। পড়াশোনার বিষয়ে তামান্নাকে দিকনির্দেশনা দেওয়ার পাশাপাশি তার সঙ্গে দেখা করার জন্য খুব শিগগিরই যশোর আসবেন বলেও জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী।
মঙ্গলবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় তামান্নার বাবা রওশন আলী ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
বিজ্ঞাপন
এর আগে গতকাল সোমবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) পৃথক দুটি হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর থেকে তামান্নার সঙ্গে ফোনে কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তাঁর বোন শেখ রেহানা। ফোন দিয়ে তাকে অভিনন্দন জানানোর পাশাপাশি তামান্নার স্বপ্ন পূরণে যে কোনো সহযোগিতার আশ্বাস দেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের এই দুই কন্যা।
তামান্নার বাবা রওশন আলী বলেন, মঙ্গলবার বেলা ১১টা ১৫ মিনিটে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি আমার ফোনে কল দিয়ে তামান্নার খোঁজখবর নেন। একপর্যায়ে তামান্নার সঙ্গে কথা বলার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। তামান্নার সঙ্গে দীর্ঘ ২৪ মিনিট ৩০ সেকেন্ড কথা বলেছেন শিক্ষামন্ত্রী।
এ সময় তিনি তামান্নাকে বলেন, মনোবল হারানো যাবে না। গোটা বাংলাদেশ তোমার সঙ্গে আছে। তুমি এগিয়ে যাও। তোমার সঙ্গে আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও আছেন। তুমি নুরের নুর। আল্লাহ তায়ালা তোমাকে নুরের আলোয় আলোকিত করেছেন। এক পা দিয়ে তুমি আমাদের চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছো, তুমি পারো এবং পারবে।
রওশন আলী বলেন, শিক্ষামন্ত্রী তামান্নাকে ভার্সিটিতে মাইক্রোবায়োলোজি বিষয় নিয়ে পড়াশোনা করার পরামর্শ দিয়েছেন এবং বলেছেন- খুব তাড়াতাড়ি আমি তোমার সঙ্গে দেখা করতে যশোরে আসব।
এদিকে মঙ্গলবার ঝিকরগাছা উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সহকারী কমিশনার (ভূমি) ডা. কাজী নাজিব হাসান তামান্নাকে ফুলের শুভেচ্ছা জানান এবং মিষ্টি নিয়ে তার বাসায় যান। একই দিন যশোর থেকে প্রকাশিত দৈনিক কল্যাণ পত্রিকার প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী অনুষ্ঠানে তামান্নাকে কৃতী সংবর্ধনা প্রদান করা হয়েছে। একই সঙ্গে পত্রিকাটির ব্যবস্থাপনা সম্পাদক এজাজ উদ্দীন টিপু তামান্নার পড়াশোনার দায়িত্ব নিয়েছেন। অনুষ্ঠানে তামান্নাকে পত্রিকাটির পক্ষ থেকে এককালীন শিক্ষাবৃত্তিও দেওয়া হয়েছে। মেয়েকে নিয়ে বিভিন্ন সমস্যা ও সম্ভবনা তুলে ধরার জন্য যশোরের সাংবাদিক ও মিডিয়াকর্মীদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন তামান্নার বাবা রওশন আলী।
যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার বাঁকড়া আলীপুরের রওশন আলী ও খাদিজা পারভীন শিল্পী দম্পতির তিন সন্তানের মধ্যে বড় তামান্না আক্তার নূরা। তিনি উপজেলার বাঁকড়া ডিগ্রি কলেজ থেকে বিজ্ঞান বিভাগে এবার উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছিলেন। গত রোববার (১৩ ফেব্রুয়ারি) প্রকাশিত ফলাফলে এসএসসির মতো এইচএসসিতেও জিপিএ-৫ পেয়েছেন তামান্না।
এর আগে তামান্না ২০১৯ সালে উপজেলার বাঁকড়া জনাব আলী খান মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছিলেন। একই ফল করেছিলেন পিইসি ও জেএসসিতেও। তার বাবা রওশন আলী ঝিকরগাছা উপজেলার ছোট পৌদাউলিয়া মহিলা দাখিল মাদরাসার (ননএমপিও) শিক্ষক। মা খাদিজা পারভীন গৃহিণী। তামান্নার ছোট বোন মুমতাহিনা রশ্মি ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ে। ভাই মুহিবুল্লাহ তাজ প্রথম শ্রেণিতে পড়ে।
জাহিদ হাসান/আরএআর