অগ্রিম টাকা পরিশোধের পর নির্ধারিত সময়ে পণ্য না পেয়ে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ই-অরেঞ্জের মালিকসহ সাতজনের বিরুদ্ধে ১ কোটি ৪৬ লাখ ২৩ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগে নোয়াখালীতে প্রতারণা মামলা হয়েছে। 

গতকাল মঙ্গলবার (৮ ফেব্রুয়ারি) মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম নামে এক গ্রাহক নোয়াখালীর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের এক নম্বর আমলি আদালতে এ মামলা করেন। মামলায় ১৪ জন গ্রাহককে সাক্ষী করা হয়েছে। মামলাটি তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। 

ই-অরেঞ্জের উপদেষ্টা শেখ সোহেল রানাকে মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছে। এ ছাড়াও সাবেক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. নাজমুল আলম রাসেলসহ ছয়জনকে আসামি করা হয়েছে। 

আদালতের বিচারক সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোসলেহ উদ্দিন মিজান মামলাটি আমলে নিয়ে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্ত করে প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।

মামলার বাদী মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমিসহ ১৪ সাক্ষীর সঙ্গে প্রতারণা করে ১ কোটি ৪৬ লাখ ২৩ হাজার ২০৮ টাকা আত্মসাৎ করেছে ই-অরেঞ্জ। আমরা মোটরসাইকেল, মুঠোফোন ও বিভিন্ন ইলেকট্রনিকস সামগ্রী কেনার উদ্দেশ্যে নগদ টাকায় ই-অরেঞ্জের ভাউচারের ওপর অর্থলগ্নি করেছিলাম। 

তিনি বলেন, ২০২১ সালের মে থেকে জুলাইয়ের মধ্যে এ অর্থ বিনিয়োগ করা হয়। বর্তমানে টাকা কিংবা পণ্য না পেয়ে আমরা সর্বস্বান্ত হয়ে পড়েছি। সমাজে চলাচল দায় হয়ে দাঁড়িয়েছে। ইতোপূর্বে ঊর্ধ্বতনদের সঙ্গে যোগাযোগ করে কাজ হয়নি। তাই বাধ্য হয়ে আমরা আদালতের শরণাপন্ন হয়েছি।

পিবিআইয়ের নোয়াখালীর পুলিশ সুপার (এসপি) মিজানুর রহমান মুন্সী ঢাকা পোস্টকে বলেন, আদালত থেকে মামলার কাগজপত্র এখনো হাতে পাইনি। কাগজপত্র পেলে আমরা নির্দেশনা অনুযায়ী তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেব।

উল্লেখ্য, গ্রাহকদের সঙ্গে প্রতারণা করে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ই-অরেঞ্জের মালিক সোনিয়া মেহজাবিন, তার স্বামী মাসুকুর রহমান গ্রেফতার হয়ে কারাগারে আছেন। পালিয়ে ভারতে গিয়ে ধরা পড়েছেন শেখ সোহেল রানা। 

হাসিব আল আমিন/আরএআর