বরগুনায় যৌতুক না পেয়ে দুই মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে নির্যাতনের দায়ে এক পুলিশ সদস্যকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার (৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বরগুনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক হাফিজুর রহমান তাকে আদালতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

অভিযুক্ত পুলিশ সদস্য তাজুল ইসলাম পিরোজপুরের পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে কর্মরত ছিলেন। পুলিশ সদস্য তাইজুল ইসলাম রুবেল (২৮) বরগুনার আয়লা পাতাকাটা ইউনিয়নের লেমুয়া গ্রামের মোস্তফা গাজীর ছেলে।

মামলা সূত্রে জানা যায়, পাঁচ বছর আগে আয়লা পাতাকাটা ইউনিয়নের কদমতলা গ্রামের মনিরুল ইসলামের মেয়ে সুমি আক্তারের সাথে বিয়ে হয় তাইজুলের। বিয়ের পর থেকেই তাইজুল বিভিন্ন সময়ে সুমির পরিবারের কাছে টাকা দাবি করতেন। গত বছরের ৫ আগস্ট ছুটি কাটাতে বাড়িতে আসেন তাইজুল। এ সময় চাকরির পদোন্নতির জন্য সুমির কাছে পাঁচ লাখ টাকা দাবি করেন তিনি। সুমি টাকা না দিতে চাইলে বেধড়ক মারধর করেন তাইজুল। এতে দুই মাসের অন্তঃসত্ত্বা সুমির গর্ভপাত হয় এবং তিনি গুরুতর আহত হন।

এ ঘটনায় সুমির মা হেলেনা বেগম বাদী হয়ে একই বছর ১ সেপ্টেম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা করেন। তদন্ত শেষে ৩০ সেপ্টেম্বর তাজুল ইসলামের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন ট্রাইবুনাল। আজ আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করেন তাইজুল। আদালত আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে বাদীর আইনজীবী মুজিবুল হক কিসলু বলেন, ওই পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে গত বছর মামলা হয়। তদন্তে তিনি দোষী প্রমাণিত হওয়ায় আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। আসামি পিরোজপুর এসপি অফিসে কর্মরত ছিলেন।

পিরোজপুর পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাঈদুর রহমান বলেন, আমরা অফিশিয়াল কোনো তথ্য পাইনি এখনো। তথ্য পেলে পুলিশের প্রচলিত আইনে তাইজুলের বিরুদ্ধে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এনএ