বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ভাগনে মাহবুবুর রশীদ মঞ্জুকে হারিয়ে বিপুল ভোটে জয়ী হয়েছেন জামায়াত সমর্থিত প্রার্থী মোহাম্মদ হানিফ। 

সোমবার (০৭ ফেব্রুয়ারি) রাতে কোম্পানিগঞ্জ উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. আরিফুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, উপজেলার ২ নং চরপার্বতী ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে মোহাম্মদ হানিফ মোটরসাইকেল প্রতীকে ৫ হাজার ৪২০ ভোট পেয়ে প্রথম হয়েছেন। আর সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ভাগনে মাহবুবুর রশীদ মঞ্জু ৩ হাজার ৮৪৯ ভোট পেয়ে তৃতীয় হয়েছেন।

এ বিষয়ে বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা বলেন, এই নির্বাচন ছিল সাজানো। মন্ত্রীর ভাগনেকে জেতাতে বহিরাগত সন্ত্রাসী আনা হয়েছে। তারা প্রকাশ্যে ভোট চুরি করেছে। শেষের দিকে ভোট কারচুপি করতে চেয়েছিল প্রশাসন। যদি ভাগনে ভোটে দ্বিতীয় হতো তাহলে কারচুপি করে তাকে বিজয়ী ঘোষণা করত। 

প্রসঙ্গত, সপ্তম ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ থেকে কাউকে দলীয় প্রতীক নৌকা দেওয়া হয়নি। ফলে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই মেয়র আবদুল কাদের মির্জা, সাবেক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদলের নেতৃত্বে আট ইউনিয়নে আলাদা প্রার্থী দেওয়া হয়েছে।

আট ইউপির নির্বাচনে তিনটিতে বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা সমর্থিত, চারটিতে সাবেক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদল  এবং একটিতে জামায়াত সমর্থিত প্রার্থী চেয়ারম্যান পদে জয়ী হয়েছেন।

হাসিব আল আমিন/এসপি