গাজীপুরের শ্রীপুরে অবস্থিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে ১১টি জেব্রা, ১টি বাঘ ও ১টি সিংহ মারা যাওয়ার ঘটনায় পার্ক পরিদর্শন করেছে সিআইডির বিশেষজ্ঞ একটি দল। এ সময় তারা ১২ থেকে ১৩টি নমুনা সংগ্রহ করেছে। সোমবার (৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে পার্কের কোর সাফারির আফ্রিকান সাফারিতে এসে তারা নমুনা সংগ্রহ করেন।

সিআইডির ঢাকা রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি ইমাম হোসেন বলেন, জেব্রা মৃত্যুর কারণ জানতে পার্ক পরিদর্শন করে খাবারসহ যে স্প্যাম্পলগুলো প্রয়োজন মনে করেছি তা সংগ্রহ করে নিয়েছি। প্রাণীদের বাসস্থান, তাদের যারা দেখাশোনা করেছেন, তাদের সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় তথ্য নিয়েছি। আমরা আসলেই চাই, আমাদের সিআইডির যে বিশ্বমানের ফরেনসিক ল্যাব, বায়ো ল্যাব আছে, সেগুলোর যথাযথ ব্যবহার করে আসেলই কী কারণে এত পশু মারা গেল, সে বিষয়টি উদঘাটন করার চেষ্টা করব।

তিনি আরও বলেন, প্রাণী মৃত্যুর ঘটনায় ক্রিমিনাল অ্যাকটিভিটিজ কারও ছিল কি না, ক্রিমিনাল ইনটেনশন ছিল কি না, অপরাধ মানসিকতা কাজ করেছে কি না, ওই বিষয়গুলোও আমরা দেখব। আমরা তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করেছি, আমরা এগুলো বিচার-বিশ্লেষণ করে একটা হয়তো সিদ্ধান্তে আসতে পারব। আসলে কী হয়েছিল, কেন হয়েছিল এবং এ রকম ঘটনা যাতে আর না ঘটে, এ জন্য আমরা ১২ থেকে ১৩টি স্প্যাম্পল নিয়েছি, তা সিআইডির ল্যাবে পরীক্ষা করে মৃত্যুর কারণ খুঁজে বের করব।

গাজীপুর সিআইডির সহকারী পুলিশ সুপার মো. আরজু মিয়া জানান, ঢাকার সিআইডির প্রধান কার্যালয় থেকে ফরেনসিক বিভাগের বিশেষ পুলিশ সুপার ডা. রেজাউল করিম খানসহ একটি দল দুপুরে সাফারি পার্কের বেষ্টনীতে প্রবেশ করে। সিআইডির টিম প্রাণীদের খাবার, বাসস্থানসহ বিভিন্ন ধরনের নমুনা সংগ্রহ করে বিকেলে পার্ক থেকে বের হয়। সিআইডি টিম সংগৃহীত নমুনা ও মৃত প্রাণীর দেহের নমুনা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করবে। পরীক্ষার ফলাফল মন্ত্রণালয়ের গঠিত তদন্ত কমিটির কাছে হস্তান্তর করবে তারা।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার ফরেনসিক ডা. রেজাউল করিম খান, গাজীপুর সিআইডির পুলিশ সুপার রিয়াজুল হক, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা) অঞ্জন কুমার, জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. উকিল উদ্দিন, শ্রীপুর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. রুকনুজ্জামান পলাশ, সাফারি পার্কের প্রকল্প পরিচালক মোল্ল্যা রেজাউল করিমসহ পার্কের কর্মকর্তারা।

শিহাব খান/এনএ