রাজশাহী নগরীতে সরকারি বাড়ি পাইয়ে দেওয়ার নামে নগদ টাকা, স্বর্ণালঙ্কার ও মোবাইল ফোন নিয়ে উধাও হয়েছিল প্রতারক। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। বৃহস্পতিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাতে জেলার বাঘা উপজেলার চকছাতারি এলাকা থেকে কুদ্দুস ওরফে ফিরোজ (৪৩) নামে ওই প্রতারককে গ্রেফতার করেছে নগরীর কাশিয়াডাঙ্গা থানা পুলিশ।

আব্দুল কুদ্দুস ওরফে ফিরোজ চকছাতারী গ্রামের আব্দুল কাশেম মিয়ার ছেলে। নিজেকে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের পিওন পরিচয়ে প্রতারণার ফাঁদ পেতেছিলেন তিনি।

নগর পুলিশের মুখপাত্র গোলাম রুহুল কুদ্দুস জানিয়েছেন, গত ৩১ জানুয়ারি সকালে অভিযুক্ত আব্দুল কুদ্দুস জেলার গোদাগাড়ীর বাসিন্দা নূর জাহান বেগমের বাড়িতে যান। নিজেকে ডিসি অফিসের পিওন পরিচয়ে দিয়ে তিনি নূর জাহান বেগমকে সরকারি বাড়ি বরাদ্দের কথা জানান। এ জন্য তাকে রাজশাহী জজকোর্টে যাবার শর্ত দেন।

ওই প্রতারকের কথামত মেয়েকে সাথে নিয়ে নূর জাহান বেগম রাজশাহী জজকোর্টে আসেন। কোর্ট ভবনের সামনে ফিরোজ তাদের জানান, গয়না ও মোবাইল ব্যাগের মধ্যে না রাখলে বাড়ি বরাদ্দ মিলবে না।

তারা নিজে বিভিন্ন অংলাকার, দুটি মোবাইল ফোন ও নগদ সাড়ে ৭ হাজার টাকা ভ্যানিটি ব্যাগে রেখে দেয়। এরপর ফিরোজ ব্যাগটি নিজের কাছে রেখে মা-মেয়েকে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলার নামে আদালত ভবনের তৃতীয় তলায় পাঠান। মা-মেয়ে আড়াল হওয়া মাত্রই উধাও হয়ে যান ওই প্রতারক। এই ঘটনায় ওই দিন রাজপাড়া থানায় মামলা করেন ভুক্তভোগী নূর জাহান।

নগর পুলিশের মুখপাত্র আরও জানান, অভিযোগ পাবার পর প্রতারককে পাকড়াও করতে তৎপরতা শুরু করে রাজপাড়া থানা পুলিশ। গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে রাজপাড়া থানা পুলিশের জালে আটকা পড়েন প্রতারক।

এই অভিযানে নেতৃত্ব দেন নগরীর রাজপাড়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মাইদুল ইসলাম। তিনি বলেন, গ্রেফতার আব্দুল কুদ্দুসের কাছে ভ্যানেটি ব্যাগটি পাওয়া গেছে। কিছু স্বর্ণালঙ্কার ও নগদ ৭ হাজার টাকাও পাওয়া গেছে। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি দীর্ঘদিন ধরে এমন করে আসছেন বলে জানান। পরে তার বিরুদ্ধে আইনত ব্যবস্থা নিয়েছে পুলিশ।

ফেরদৌস সিদ্দিকী/আরআই