এখন থেকে প্রতি ১ হাজার লিটার পানির মূল্য ৬ দশমিক ৮১ টাকা পরিশোধ করতে হবে রাজশাহী ওয়াসার আবাসিক গ্রাহকদের। একই পরিমাণ পানির মূল্য বাণিজ্যিকে ধরা হয়েছে ১৩ দশমিক ৬২ টাকা। পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী, আজ (১ ফেব্রুয়ারি) থেকেই এই রেট কার্যক্রর করবে রাজশাহী পানি সরবরাহ ও পয়োনিষ্কাশন কর্তৃপক্ষ (ওয়াসা)। এই ঘোষণা অনুযায়ী, ওয়াসার পানির দাম বাড়ল অন্তত তিন গুণ।

এর আগে রাজশাহীতে আবাসিক গ্রাহকদের প্রতি ১ হাজার লিটার পানির মূল্য পরিশোধ করতে হতো ২ টাকা ২৭ পয়সা। আর বাণিজ্যিকে মূল্য পরিশোধ করতে হতো ৪ টাকা ৫৪ পয়সা।

সবশেষ ২০১৪ সালে ওয়াসা এক দফা পানির দাম বাড়িয়েছিল। পরে গত জানুয়ারির শুরুর দিকে পানির দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয় ওয়াসা। এ নিয়ে গণমাধ্যমে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। নিজস্ব ওয়েব সাইটেও এই সংক্রান্ত ঘোষণা প্রচার করে সংস্থাটি।

ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ১ ফেব্রুয়ারি থেকে প্রতি ১ হাজার লিটার পানির মূল্য আবাসিকে ৬ দশমিক ৮১ এবং বাণিজ্যিকে ১৩ দশমিক ৬২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। পাইপের ব্যাস ও ভবনের তলার ভিত্তিতেও নতুন মূল্য নির্ধারণের তালিকা প্রকাশ করা হয়। মূল্যবৃদ্ধির সিদ্ধান্তে নগরবাসী বলছেন, ওয়াসার পানি সব সময় ঠিকমতো পাওয়া যায় না। ফলে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর করোনা পরিস্থিতিতে পানির দাম না বাড়ানোর দাবি জানিয়েছিলেন নগরবাসী।

ওয়াসা কর্তৃপক্ষ বলছে, বর্তমানে এক হাজার লিটার পানি উৎপাদনে তাদের খরচ ৮ টাকা ৯০ পয়সা। তিন গুণ বাড়ানোর পরও আবাসিক গ্রাহক পর্যায়ে মূল্য পরিশোধ করতে হবে ৬ টাকা ৮১ পয়সা। আর বাণিজ্যিকে সমপরিমাণ পানির মূল্য দিতে হবে ১৩ টাকা ৬২ পয়সা।

সিটি করপোরেশনের পানি সরবরাহ শাখাকে আলাদা করে ২০১০ সালের ১ আগস্ট প্রতিষ্ঠা হয় রাজশাহী ওয়াসা। বর্তমানে ১০৩টি গভীর নলকূপের মাধ্যমে পানি উত্তোলন করে তা পাইপলাইনের মাধ্যমে সরবরাহ করছে সংস্থাটি। জানা গেছে, নগরীতে দৈনিক পানির চাহিদা ১১ কোটি ৩২ লাখ লিটার। তবে ৭১২ কিলোমিটার সরবরাহ লাইনের মাধ্যমে ওয়াসা সরবরাহ করতে পারে ৯ কোটি লিটার পানি।

রাজশাহী ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) জাকীর হোসেন বলেন, সময় ও উৎপাদন খরচের সঙ্গে সঙ্গতি রেখেই পানির নতুন মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রতিষ্ঠার পর বর্তমান ওয়াসার পরিধি অনেক বেড়েছে। কিন্তু পানির দাম সেই তুলনায় বাড়েনি। অথচ এই পানির বিলই ওয়াসার আয়ের উৎস। এ জন্য গ্রাহক ও প্রতিষ্ঠানের সব দিক বিবেচনায় রেখে পানির দাম বাড়ানো হয়েছে।

ফেরদৌস সিদ্দিকী/আরআই