অত্যাচার-নির্যাতনের মধ্যে নির্বাচনটা করেছি : তৈমূর
নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার বলেছেন, কেউ জবাবদিহিতার ঊর্ধ্বে না। প্রত্যেককে জবাবদিহি করতে হবে, যারা নৌকা জেতানোর জন্য এসব ঘটনা ঘটিয়েছেন। আমি মনে করি ইভিএমে কোনো রাজনৈতিক দলের নির্বাচনে যাওয়া উচিত না। আমি সর্ব অবস্থায় দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার পক্ষে থাকব।
সোমবার (২৪ জানুয়ারি) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ আদালত প্রাঙ্গণে নেতাকর্মীদের জামিন শুনানির পর তিনি এসব কথা বলেন।
বিজ্ঞাপন
তৈমূর বলেন, নির্বাচনের সময় যারা গ্রেফতার হয়েছেন, তারা সবাই কোনো না কোনোভাবে আমার সঙ্গে সম্পৃক্ত। কেউ ড্রাইভার, কেউ মাইক অপারেটর। কেউ পোস্টার লাগানোর দায়িত্বে ছিল। কেউ রিকশায় প্রচারণার দায়িত্বে ছিল। তারা রাত ১টা পর্যন্ত আমার বাড়িতে অবস্থান করেছে। রাত ১টায় যখন তারা আমাকে কাজ বুঝিয়ে দিয়ে বের হয়ে যায়, তখন তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ নৌকার প্রার্থীকে জয়ী করানোর জন্য এই লোকগুলোকে গ্রেফতার করে এবং আমাকে ফলস পজিশনে ফেলে।
তিনি বলেন, যে গাড়ির ড্রাইভারের নাম ও গাড়ির নম্বর নির্বাচন কমিশনের কাছে দেওয়া ছিল, সেটা আমার চিফ এজেন্ট এটিএম কামালের। সেই গাড়ি টাকা-কাগজসহ তারা নিয়ে যায় এবং পরে তা ফেরত দেয়। এই লোকগুলোকে তারা এতদিন হয়রানি করল শুধুমাত্র নৌকাকে জয়লাভ করানোর জন্য। এসপি-ডিসি বলেছিলেন নিরপেক্ষ থাকবেন। কিন্তু এই এসপির নেতৃত্বে আমার লোকগুলোকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ৩৫ জনকে তারা গ্রেফতার করেছে এবং ২শ লোকের বাড়িতে হানা দিয়েছে। নির্বাচনের দিন হাতির ব্যাজ লাগানো লোককে গ্রেফতার করেছে আবার নির্বাচন শেষ হওয়ার পরে ছেড়ে দিয়েছে।
তৈমূর বলেন, আমি অত্যাচার-নির্যাতনের মধ্যে নির্বাচনটা করেছি। চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বলেছিলেন জামিন দেবেন, কিন্তু দেননি। আজকে তাদের জামিন হল। এখানে আমার একটা ছেলে আছে জয়দেব মন্ডল। সে হিন্দু, আমার নির্বাচন করছিল। তাকেও ধরে হেফাজতের তাণ্ডবের মামলায় দিয়ে দিয়েছে। এখন হিন্দুরাও হেফাজত করে। যারা জজ মিয়া নাটক বানিয়েছিলেন, সেই পুলিশ অফিসাররাই এসব নাটক করে সককারকে খুশি করতে আমার লোকজনকে জেলে নিয়েছেন।
রাজু আহমেদ/আরএআর