বান্দরবানে বিনা ভোটে জয়ের পথে ২ চেয়ারম্যান ৮ সদস্য প্রার্থী
সপ্তম ধাপে বান্দরবান সদর উপজেলার তিনটি ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে দুটিতে বিনা ভোটে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হচ্ছেন। এছাড়া ৬টি ওয়ার্ডে সাধারণ সদস্য ও দুটি ওয়ার্ডে সংরক্ষিত সদস্য পদে একজন করে প্রার্থী থাকায় তারাও বিনা ভোটে নির্বাচিত হচ্ছেন।
তফসিল অনুযায়ী, আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি তিন ইউপিতে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। ১২ জানুয়ারি বিকেল ৫টা পর্যন্ত প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমা নেওয়া হয়েছে। আগামী ২২ জানুয়ারি প্রার্থিতা যাচাই-বাছাই হবে। ২৩ জানুয়ারি প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন। ২৪ জানুয়ারি প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হবে।
বিজ্ঞাপন
সদর উপজেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, ইউপি নির্বাচনে বান্দরবান সদরে আওয়ামী লীগ মনোনীত অংসা হ্লা ছাড়া কেউ চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র জমা দেননি। এছাড়া জামছড়ি ইউপিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী মাচঙৈ মারমা রোববার মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেওয়ায় আওয়ামী লীগ মনোনীত ক্যসিংশৈ মারমা একক চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়েছেন।
সদর উপজেলা রিটার্নিং ও নির্বাচন কর্মকর্তা পরান্টু চাকমা বলেন, সদর ও জামছড়ি ইউপিতে একক চেয়ারম্যান প্রার্থী রয়েছে। তাই তারাই চেয়ারম্যান হচ্ছেন। তবে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের নির্ধারিত তারিখের আগে বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত বলার সুযোগ নেই।
এদিকে রাজবিলা ইউপিতে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান ক্যঅং প্রু মারমা ছাড়াও দুজন স্বতন্ত্র প্রার্থী রয়েছেন। তবে গতকাল জেলা সদরে এই স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মনোনয়ন প্রত্যাহারের গুঞ্জন শোনা গেছে।
বান্দরবান পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. শামসুল ইসলাম বলেন, লোকমুখে শুনেছি রাজবিলা ইউপিতে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা মনোনয়ন প্রত্যাহার করতে পারেন। তবে তা নিশ্চিত করে বলতে পারছি না।
উপজেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা সূত্রে জানা গেছে, রাজবিলা ইউপির সাধারণ সদস্য পদে ২, ৪ ও ৬ নম্বর ওয়ার্ডে এবং সংরক্ষিত সদস্য পদে ২ নম্বর ওয়ার্ডে, জামছড়ি ইউপিতে সাধারণ সদস্য পদে ৫, ৮ ও ৯ নং ওয়ার্ডে এবং সংরক্ষিত সদস্য পদে ৩ নং ওয়ার্ডে একজন করে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। ২৩ জানুয়ারি প্রত্যাহার শেষে এসব সদস্যকে বিনা ভোটে নির্বাচিত ঘোষণা করা হবে।
রিজভী রাহাত/এসপি