এজেন্ট বের করে গ্রেফতার করা হচ্ছে : তৈমূর
বিভিন্ন কেন্দ্রে ইভিএম মেশিনের সমস্যা করে রাখা ও নিজের এজেন্টদের গ্রেফতার, কেন্দ্র থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ করেছেন স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার। রোববার (১৬ জানুয়ারি) দুপুর ১টার দিকে তিনি গণমাধ্যমকে এ কথা জানান।
তৈমূর বলেন, বন্দরের ২০ নং ওয়ার্ডে সিটি কর্পোরেশনের শীর্ষ ঠিকাদার ও জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সুফিয়ান আমার এজেন্ট মনোয়ার হোসেন শোখনকে বের করে পুলিশে দিয়েছে। নগরীর ১১ নং ওয়ার্ডের আইইটি সরকারি বিদ্যালয় কেন্দ্রের বাইরে থেকে আমার চারজন সমর্থককে পুলিশ গ্রেফতার করে নিয়ে গেছে। এছাড়া নগরীর ১২ নং ওয়ার্ডে বার একাডেমি কেন্দ্রের কয়েকটি বুথে আমার হাতি প্রতীকের বাটন নষ্ট করে রাখা হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
তিনি আরও বলেন, ১১ নং ওয়ার্ডের বিবি মরিয়ম স্কুল কেন্দ্রের পুরুষ কক্ষে, ১৩ নং ওয়ার্ডের আমলাপাড়া আদর্শ বালিকা স্কুলের মহিলা কেন্দ্রের ইভিএম মেশিনে সমস্যা করে রাখা হয়েছে।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, সিদ্ধিরগঞ্জের মিজমিজি এলাকায় থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাজী ইয়াসিন নিজে কেন্দ্রে প্রবেশ করে আমার এজেন্টদের কের করে দিয়েছেন।
তৈমূর অভিযোগ করে বলেন, হাতি প্রতীকের ভোট যেসব এলাকায় বেশি সেখানে ভোটগ্রহণ স্লো করা হচ্ছে। এনআইডি কার্ডের অজুহাতে কিংবা ভোটার লিস্টের অজুহাতে ভোটারদের বিলম্ব করিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
এ সময় তৈমূর বলেন, জনতা ও হাতির বিজয় নিশ্চিত জেনে সরকার দলীয় লোকজন একদিকে এসব কর্মকাণ্ড করছে অপরদিকে স্থানীয় প্রশাসন, ইসি কর্মকর্তারা সরাসরি সরকার দলীয় প্রার্থীর পক্ষে ম্যাকানিজম করছেন। কিন্তু তাদের এখনও সময় আছে বোঝার। আমি জনতার প্রার্থী, আর হাতি জনতার প্রতীক। জনতার বিরুদ্ধে, জনতার রায়ের বিরুদ্ধে গেলে জনতার জবাব কাঁধে নেওয়ার শক্তি সামর্থ্য তাদের থাকবে না।
রাজু আহমেদ/এসপি