পাবনায় ২ ইউএনও’র মোবাইল নম্বর ক্লোন করে চাঁদা দাবি
পাবনার চাটমোহর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. সৈকত ইসলাম ও ঈশ্বরদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পিএম ইমরুল কায়েসের সরকারি মোবাইল নম্বর ক্লোন করে ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) কার্যালয়ের সচিব ও নবনির্বাচিত চেয়ারম্যানদের কাছ থেকে অর্থ দাবির অভিযোগ পাওয়া গেছে।
শুক্রবার (১৪ জানুয়ারি) সকাল থেকে রাত পর্যন্ত জেলার ঈশ্বরদী ও চাটমোহরের সব ইউপি চেয়ারম্যান ও সচিবদের মোবাইল করে মোটা অংকের চাঁদা দাবি করা হয়।
বিজ্ঞাপন
চাটমোহর ও ঈশ্বরদী ইউএনও কার্যালয় থেকে জানা গেছে, একটি অসাধু চক্র উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মোবাইল নম্বর ক্লোন করে বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের সচিব ও চেয়ারম্যানদের কাছে ফোন করে টাকা দাবি করেছে। এর মধ্যে গুনাইগাছা ও ছাইকোলা, ঈশ্বরদীর দাশুড়িয়া, সাহাপুর, পাকশিসহ বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের সচিবের কাছে ফোন করে চক্রটি টাকা চাইলে বিষয়টি জানাজানি হয়। পরে ঘটনাটি ইউএনওকে জানানো হয়। পরে দুই ইউএনও অফিস থেকে সবাইকে সতর্ক থাকার বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়।
চাটমোহর উপজেলার গুনাইগাছা ইউনিয়নের নবনির্বাচিত ইউপি চেয়ারম্যান রজব আলী বাবলু জানান, তিনি ফোন পেয়েছিলেন। ওই নম্বর থেকে ইউএনও পরিচয় দিয়ে তার কাছে টাকা চাওয়া হয়। তবে তিনি টাকা না দিয়ে বিষয়টি ইউএনওকে অবহিত করেন।
দাশুড়িয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বকুল সরদার জানান, ইউএনওর নম্বর থেকে আমি ও আমার সচিবের কাছে ফোন আসে। পরে ইউএনও স্যারকে ফোন দেওয়ার কারণ জানতে চাইলে নম্বরটি ক্লোন হওয়ার বিষয় জানাজানি হয়। পরে থানায় একটি অভিযোগ দেওয়ার কথা বলেন।
চাটমোহর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সৈকত ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বলেন, শুক্রবার আমার মোবাইল নম্বর ক্লোন করে ইউনিয়ন পরিষদের সচিব ও নবনির্বাচিত চেয়ারম্যানদের কাছে টাকা চাওয়া হয়েছে। অবশ্য বিষয়টি দ্রুত জানা সম্ভব হয়েছে। সবাইকে এ বিষয়ে সতর্ক থাকার আহবান জানান তিনি।
ঈশ্বরদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পিএম ইমরুল কায়েস ঢাকা পোস্টকে বলেন, ইউপি নির্বাচনের পর শপথ নিয়ে কার্যালয়ে বসার পরেই চেয়ারম্যানদের নতুন মনে করে সরল ভেবে কিছু দুষ্কৃতকারী আমার সরকারি নম্বর ক্লোন করে শুক্রবার সকাল থেকে রাত পর্যন্ত উপজেলার অনেক নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান ও ইউপি সচিবদের কাছে অর্থ দাবি করছে। এ বিষয়ে সবাইকে সতর্ক থাকার বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছে।
চাটমোহর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন ঢাকা পোস্টকে বলেন, এ ঘটনায় ইউএনও অফিস থেকে মৌখিকভাবে জানানো হয়েছে। দ্রুত চক্রটিকে শনাক্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। একটি অসাধু চক্র আছে তাদের কাজ শুধু সরকারি কর্মকর্তাদের নম্বর ক্লোন করে চাদাঁবাজি করা।
ঈশ্বরদী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান আসাদ বলেন, এ বিষয়ে আজ বিকেলে উপজেলা থেকে ফোনে বিষয়টি জানানোর পর থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হয়। দুষ্কৃতকারীদের শনাক্তে আমরা কাজ করছি।
রাকিব হাসনাত/আরআই