খুলনায় পুলিশ ও বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষে আহত ২০
পুলিশি বাধার কারণে খুলনায় ‘কালো দিবস’ পালন করতে পারেনি জেলা ও মহানগর বিএনপি। এ সময় পুলিশের লাঠিচার্জে বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের অন্তত ২০ নেতাকর্মী আহত হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে দলটির নেতারা।
এ ঘটনার প্রতিবাদে বিএনপির পক্ষ থেকে দলীয় কার্যালয়ে তাৎক্ষণিক প্রেস ব্রিফিংয়ে পুলিশি তাণ্ডবের তীব্র নিন্দা জানানো হয়।
বিজ্ঞাপন
বিএনপি নেতাকর্মীরা জানায়, বুধবার (৫ জানুয়ারি) সকাল ১১টায় মহানগর ও জেলা বিএনপির যৌথ উদ্যোগে কেন্দ্র ঘোষিত মানববন্ধন কর্মসূচি শুরুর প্রাক্কালে খুলনা থানার এক কর্মকর্তা এসে অনুমতি না থাকায় কোনো কর্মসূচি পালন করা যাবে না বলে জানান। এ নিয়ে উপস্থিত মহানগর ও জেলা বিএনপির শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে বাক-বিতণ্ডার এক পর্যায়ে কর্মসূচি শুরু করে দেওয়া হয়। জেলা বিএনপির আহবায়ক আমির এজাজ খানের সভাপতিত্বে কর্মসূচি শুরু হয়।
জেলা বিএনপির সদস্য সচিব মনিরুল হাসান বাপ্পীর পরিচালনায় মহানগর বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ফখরুল আলম বক্তব্য শুরু করা মাত্র পুলিশ এসে মানববন্ধন কর্মসূচিতে হামলে পড়ে। তাদের লাঠিচার্জে ফখরুল আলম ও জেলা ছাত্রদলের সভাপতি আব্দুল মান্নান মিস্ত্রি গুরুতর আহত হন। আহতদের মধ্যে মহানগর বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ফখরুল আলমের মাথা ফেটে রক্তাক্ত জখম হন। তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানে মাথায় সেলাই দেওয়া হয়। বিক্ষুব্ধ কর্মীরা মিছিল বের করে।
আহত অন্যরা হলেন- আমির এজাজ খান, শফিকুল আলম তুহিন, মনিরুল হাসান বাপ্পী, আবু মুসা গাজী, হেমায়েত হোসেন, মিসেস সেতারা, নিঘাত সীমা, মামসুন নাহার লিপি, আমিন আহমেদ, ফিরোজ খান, খান জিয়াউর রহমান জীবনসহ আরও অনেকে।
এক পর্যায়ে বিক্ষুব্ধ বিএনপি কর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এ সময় কে ডি ঘোষ রোড, হেলাতলা ও বড় বাজার এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। মুহুর্তেই ফাঁকা হয়ে যায় রাস্তাঘাট। ব্যবসায়ীরা আতঙ্কে দোকানপাট বন্ধ করে দেন।
ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে দলীয় কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাকিদের ঘটনা সম্পর্কে অবহিত করেন মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন।
খুলনা সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসান আল মামুন ঢাকা পোস্টকে বলেন, বিএনপির নেতাকর্মীরা কোনো অনুমতি না নিয়েই সড়ক অবরোধ করে সমাবেশ করার চেষ্টা করে। আমরা তাদের ছত্রভঙ্গ করে দিয়েছি।
মোহাম্মদ মিলন/আরআই