গবেষণা জাহাজ তৈরি স্বাধীন বাংলাদেশের সক্ষমতার প্রমাণ
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেছেন, এক সময় বাংলাদেশকে তলাবিহীন ঝুড়ি বলা হলেও বর্তমান বিশ্বে দেশটি উন্নয়নের রোল মডেল। গবেষণা জাহাজ নির্মাণ স্বাধীন বাংলাদেশের সক্ষমতার প্রমাণ।
মঙ্গলবার (৪ জানুয়ারি) বিকেলে খুলনা শিপইয়ার্ডে বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের জন্য নির্মিত ইলিশ গবেষণা জাহাজ হস্তান্তর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বিজ্ঞাপন
মন্ত্রী আরও বলেন, বিশ্বের মাত্র ১১টি দেশে ইলিশ উৎপাদন হয়, যার মধ্যে বাংলাদেশ শীর্ষে রয়েছে। মোট উৎপাদনের ৮০ শতাংশই আমাদের দেশে হয়। ফলে ইতোমধ্যে ইলিশ বাংলাদেশের ভৌগলিক নির্দেশক (জিআই) পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করেছে।
ইলিশের জীবন বৈচিত্রময় উল্লেখ করে তিনি বলেন, ইলিশের জন্ম হয় মিঠা পানিতে, জীবনের বড় একটি অংশ কাটে সমুদ্রের লোনা পানিতে, আবার প্রজনন মৌসুমে ডিম ছাড়ার জন্য মিঠা পানিতে চলে আসে। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ইলিশের জীবনচক্রে নানা পরিবর্তন এসেছে। এসব বিষয়ে গবেষণার জন্য এতদিন কোনো জাহাজ ছিল না। এই জাহাজ ইলিশ তথা মৎস্য গবেষণার নতুন দ্বার উন্মোচন করবে। একই সঙ্গে মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটকে এই আধুনিক জাহাজটি যথাযথ রক্ষণাবেক্ষণের মাধ্যমে ব্যবহার করে ইলিশ উৎপাদনে কার্যকরী ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান তিনি।
খুলনা শিপইয়ার্ড কর্তৃপক্ষ জানায়, এমভি বিএফআরআই গবেষণা তরী নামে এই ফিশারিজ ভেসেলের দৈর্ঘ্য ২৫ মিটার, প্রস্থ ৬ মিটার, গভীরতা ২.৮০ মিটার, ড্রাফট ১.৪০ মিটার, ডিসপ্লেসমেন্ট ৯০ মেট্রিক টন, সর্বোচ্চ গতি ১০ নটিক্যাল মাইল, হাল ম্যাটেরিয়াল স্টিল এবং অ্যালুমিনিয়ামের তৈরি। জাহাজটির বিশেষত্ব হচ্ছে এর অভ্যন্তরে একটি অত্যাধুনিক ইলিশ গবেষণা ল্যাবরেটরি রয়েছে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মুহাম্মদ ইয়ামিন চৌধুরী এবং বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. ইয়াহিয়া মাহমুদ।
স্বাগত বক্তব্য দেন খুলনা শিপইয়ার্ড লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কমডোর খন্দকার আক্তার হোসেন। এ সময় খুলনা নেভাল এরিয়ার কমান্ডার রিয়ার এডমিরাল এম আনোয়ার হোসেন, খুলনার বিভাগীয় কমিশনার মো. ইসমাইল হোসেনসহ ঊর্ধ্বতন সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তা এবং খুলনা শিপইয়ার্ড লিমিটেডের কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শ্রমিকরা উপস্থিত ছিলেন।
মোহাম্মদ মিলন/আরএআর