মাছ চিনতে না পেরে ইউএনওর কার্যালয়ে জেলে
রাঙ্গামাটির কাপ্তাই উপজেলার কর্ণফুলী নদীতে জেলের জালে বিরল প্রজাতির একটি সাকার মাউথ ক্যাটফিশ বা সাকার ফিশ ধরা পড়েছে। বাংলাদেশে যাকে চোষকমুখী মাছ বলা হয়ে থাকে। রোববার (২ জানুয়ারি) কাপ্তাই উপজেলার শীলছড়ি সংলগ্ন কর্ণফুলী নদীর সীতাঘাট এলাকায় মাছ ধরার সময় মো. রহমত আলী নামে এক জেলের জালে মাছটি উঠেছে।
দেশীয় মাছ না হওয়ার কারণে প্রথমে জেলে মাছটিকে চিনতে পারেননি। ভয়ানক চেহারার মাছটি নিয়ে তিনি বিপদে পড়ে যান। তিনি মাছটি নিয়ে কাপ্তাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কার্যালয়ে যান। পরবর্তীতে সেখানকার কর্মকর্তারা মাছটি উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তার কার্যালয়ে পাঠানোর ব্যবস্থা করেন। কাপ্তাই উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তার দফতর মাছটিকে রাক্ষুসে সাকার মাছ হিসেবে চিহ্নিত করে।
বিজ্ঞাপন
এ বিষয়ে কাপ্তাই উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা আরিফুর রহমান বলেন, মাছটি ইউএনওর কার্যালয় থেকে আমাদের এখানে আনার পর আমরা মাছটিকে শনাক্ত করতে সক্ষম হই। এটি হাইপোসটোমাস প্লেকোসটোমাস (Hypostomus plecostomus) প্রজাতির সাকার মাউথ ক্যাটফিশ বা চোষকমুখী মাছ। এটি আমাদের দেশীয় মাছ নয়, তাই অনেকেই এটার সঙ্গে পরিচিত নয়। এখনও পর্যন্ত দুই ধরনের সাকার মাছ পাওয়া গেছে, একটির রঙ সাদা ও ছোপ ছোপ দাগ এবং অপরটি কালো যার ওপর সাদা ডোরাকাটা দাগ। এই মাছটি দ্বিতীয় শ্রেণির।
তিনি আরও বলেন, এই মাছটি ময়লা আবর্জনা খেয়ে বেঁচে থাকে বিধায় এটিকে সাধারণত অ্যাকুরিয়ামের জন্য ব্যবহার করা হয়। আর এই মাছটি বিষাক্ত ও খেতেও বিস্বাদ। এরা ময়লা, আবর্জনা ও অন্যান্য মাছের খাদ্য খেয়ে বেঁচে থাকে বিধায় এরা স্বাদু পানির মাছের জন্য হুমকি। যেসব জলাশয় বা নদ-নদীতে এই মাছ থাকে সেখানে অন্যান্য স্বাদু পানির মাছ থাকে না বললেই চলে। তাই দেশীয় মাছের প্রজনন ও আবাসস্থলের জন্য এরা হুমকি।
কাপ্তাই উপজেলার কর্ণফুলী নদীতে দীর্ঘদিন মাছ ধরেন জেলে সুভাষ দাশ। তিনি বলেন, আমি দীর্ঘ ৩০ বছর যাবৎ এই নদীতে মাছ ধরছি, কিন্তু কখনো এ ধরনের মাছ দেখেনি। মাছটি দেখে ভয় পেয়েছি।
মিশু মল্লিক/আরএআর