কক্সবাজারে পর্যটক ধর্ষণ: ৩ আসামির ২ দিনের রিমান্ড
কক্সবাজারে এক নারীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার তিনজনের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। সোমবার (২৭ ডিসেম্বর) বিকেলে কক্সবাজারের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক হামীমুন তানজিন এ রিমান্ড দেন।
এর আগে দুপুরে গ্রেফতার তিনজনকে আদালতে হাজির করে পুলিশ সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করে। দীর্ঘ শুনানির পর দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন বিচারক।
বিজ্ঞাপন
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ট্যুরিস্ট পুলিশের পরিদর্শক রুহুল আমিন ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
এদিকে এই ধর্ষণকাণ্ডের মূলহোতা আশিককে মাদারীপুর থেকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। সোমবার সকালে র্যাব হেডকোয়ার্টার থেকে এক প্রেসব্রিফিংয়ে গ্রেফতার ও জিজ্ঞাসাবাদে তার কাছ থেকে প্রাপ্ত স্বীকারোক্তি জানিয়েছে র্যাব। এখন পর্যন্ত এই মামলায় মূলহোতা আশিকসহ পাঁচজন গ্রেফতার হয়েছে।
প্রসঙ্গত, পর্যটক দাবিদার এক নারী দাবি করেছেন, গত বুধবার (২২ ডিসেম্বর) রাতে শহরের সন্ত্রাসী আশিক ভুক্তভোগী নারীকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে। একপর্যায়ে র্যাব অভিযান চালিয়ে কক্সবাজারের হোটেল জিয়া গেস্ট ইন থেকে ধর্ষণের শিকার ওই নারীকে উদ্ধার করে।
ওই নারীর অভিযোগের ভিত্তিতে হোটেলের ম্যানেজার ছোটনকে আটক করে র্যাব। এ ঘটনায় ২৩ ডিসেম্বর রাতে কক্সবাজার সদর থানায় এজাহারনামীয় ৪ জনসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন নির্যাতনের শিকার নারীর স্বামী।
এজাহারভুক্ত আসামিরা হলেন- আশিকুর রহমান ও তার তিন সহযোগী ইস্রাফিল খোদা ওরফে জয় ও মেহেদী হাসান ওরফে বাবু এবং রিয়াজ উদ্দিন ছোটন। মামলাটি ট্যুরিস্ট পুলিশ তদন্ত করছে।
আরআই