বড়দিনের আনন্দ উপভোগ করতে হাজার হাজার ভ্রমণপিপাসু পটুয়াখালীর পর্যটনকেন্দ্র কুয়াকাটায় মিলিত হয়েছেন। নানা বয়সী পর্যটকদের পদভারে মুখর সাগরকন্যা কুয়াকাটা। বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম সমুদ্র সৈকত সূর্যোদয়-সূর্যাস্তের কুয়াকাটার সৌন্দর্য দেখতে বছরের বিশেষ বিশেষ দিনগুলোতে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পর্যটকদের আগমন ঘটে। 

শনিবার (২৫ ডিসেম্বর) সৈকতের বিভিন্ন পয়েন্টে ঘুরে দেখা যায়, কুয়াকাটা সৈকতে আনন্দ উল্লাসে মেতেছে নানা বয়সী মানুষ। শিশু পর্যটকরা বালুর চরে পানিতে গা মিশিয়ে আনন্দ করছে, মধ্যে বয়সীরা গভীর সমুদ্রে গোসলে মেতেছেন আর বৃদ্ধরা ছাতার নিচে ব্রেঞ্চে বসে উপভোগ করছেন বিশাল সমুদ্রের নীল জলরাশি ও ঢেউয়ের গর্জন।

খুলনা থেকে ঘুরতে আসা পর্যটক জহিরুল ইসলাম ফাহিম বলেন, বড়দিনের ছুটিতে পরিবারের সবাইকে নিয়ে কুয়াকাটা এসেছি। বিশেষ করে বাচ্চাদের জন্যই এবারে ট্যুরে আসা হয়েছে। ওরা সৈকতে লাফালাফি, দুষ্টুমি করে আনন্দ উপভোগ করছে। 

বড়দিনের ছুটিতে অনেক আগেই বুকিং হয়ে গেছে কুয়াকাটার বেশিরভাগ হোটেল-মোটেল। শনিবার সকালে ভ্রমণে আসা পর্যটকদের মধ্যে অনেকেই হোটেল রুমের জন্য কিছুটা বেগ পেতে হয়েছে। তবে দুপুরের দিকে কিছু সংখ্যক পর্যটক গন্তব্যে ফিরে যাওয়ার কারণে রুম সংকট কেটে গেছে বলে জানিয়েছেন আবাসিক হোটেল ব্যবসায়ীরা।

সৈকতের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী রুহুল আমিন মাতুব্বর বলেন, আজকে কুয়াকাটায় বিপুল সংখ্যক পর্যটক এসেছে। আমাদের বিক্রি অনেক ভালো হয়েছে। 

ঢাকা থেকে বেড়াতে আসা পর্যটক হারুন অর রশিদ ও ফাতেমা আক্তার জোশি দম্পতি বলেন, পরিবারের সবাইকে নিয়ে বেড়াতে এসেছি। বাবা-মা ছাতার নিচে বসে আছেন, আমরা ছবি তুলছি, বাচ্চারা খেলা করছে। আগের থেকে কুয়াকাটার পরিবেশটাও অনেক সুন্দর লাগছে।

আবাসিক হোটেল কানচাই ইনের ম্যানেজার জুয়েল রানা বলেন, আমাদের হোটেলের সবগুলো কক্ষ বুকিং হয়েছে। আগামী দুই দিনের জন্য বুকিং রয়েছে। 

কুয়াকাটা পৌরসভার মেয়র আনোয়ার হাওলাদার বলেন, শুক্রবার সকাল থেকে কুয়াকাটায় অনেক পর্যটক এসেছে। আগত পর্যটকদের নিরাপত্তার স্বার্থে ট্যুরিস্ট পুলিশ ও কুয়াকাটা পৌরসভার পক্ষ থেকে একটি টিম সার্বক্ষণিক কাজ করছে। 

ট্যুরিস্ট পুলিশ কুয়াকাটা জোনের সহকারী পুলিশ সুপার আব্দুল খালেক বলেন, বড়দিন উপলক্ষে কুয়াকাটায় হাজার হাজার পর্যটক জড়ো হয়েছেন। আমাদের পুলিশ বিভিন্ন টিমে বিভক্ত হয়ে পুরো সৈকতে টহলে রয়েছে। আমরা পর্যটকদের নিরাপত্তা ও সহযোগিতার ব্যাপারে সার্বক্ষণিক তদারকি করছি।

কাজী সাঈদ/আরএআর