লঞ্চে আগুনের পর থেকে শিক্ষক জাহানারা নিখোঁজ
ঢাকা থেকে বরগুনাগামী এমভি অভিযান-১০ লঞ্চে ওঠা পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জের উত্তর কিসমত শ্রীনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মোসা. জাহানারা বেগমের (৪২) সন্ধান এখনো মেলেনি। গত বৃহস্পতিবার (২৩ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত ৩টার দিকে লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার পর থেকে নিখোঁজ রয়েছেন জাহানারা। তার স্বামী মো. সেলিম আকন গুরুতর আহত অবস্থায় ঢাকায় চিকিৎসাধীন।
জাহানারা বেগমের বড় ভাই মো. মুজাফফর হাওলাদার বলেন, স্বামী-স্ত্রী দুজনই কয়েক দিন আগে ঢাকায় গিয়েছিলেন চিকিৎসার জন্য। ওই লঞ্চেই ছিলেন তারা। আমার ভগ্নিপতি মো. সেলিম আকন অগ্নিদগ্ধ হয়ে নদীতে ঝাঁপ দিয়ে বেঁচে গেছেন। তবে তার শরীরের বিভিন্ন অংশসহ শ্বাসনালি পুড়ে যাওয়ায় গতকাল শুক্রবার ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। কিন্তু আমার বোন জাহানারা বেঁচে আছে কিনা, আমরা এখনো জানি না।
বিজ্ঞাপন
উত্তর কিসমত শ্রীনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোসা. সাফিয়া বেগম বলেন, সহকারী শিক্ষক জাহানারা বেগম নিঃসন্তান। ২১ ডিসেম্বর ছুটি নিয়ে চিকিৎসার জন্য স্বামীকে নিয়ে ঢাকায় গিয়েছিলেন। তার গ্রামের বাড়ি কিসমত শ্রীনগর গ্রামে।
মির্জাগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আনোয়ার হোসেন তালুকদার বলেন, ওই লঞ্চে মির্জাগঞ্জের কোনো ব্যক্তি অগ্নিকাণ্ডে দগ্ধ বা নিখোঁজ আছেন কিনা তা এখনো জানা যায়নি।
ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে ঢাকা থেকে বরগুনাগামী এমভি অভিযান-১০ লঞ্চে বৃহস্পতিবার (২৩ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত ৩টার দিকে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় শনিবার (২৫ ডিসেম্বর) দুপুর পর্যন্ত ৪১ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব লোকমান হোসেন মিয়া। নিহত ৪১ জনের ৩৭ জনই বরগুনার বাসিন্দা।
মহিব্বুল্লাহ্ চৌধুরী/আরএআর