ঘন কুয়াশায় দৌলতদিয়া-পাটুরিয়ায় ফেরি চলাচল বন্ধ
ঘন কুয়াশার কারণে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌ রুটে ফেরি চলাচল বন্ধ রয়েছে। বুধবার (২২ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত সোয়া ১২টার দিকে কুয়াশার ঘনত্ব বেড়ে গেলে দুর্ঘটনা এড়াতে ফেরি চলাচল বন্ধ রাখে ঘাট কর্তৃপক্ষ।
এতে নদী পারের অপেক্ষায় দৌলতদিয়া ও পাটুরিয়া প্রান্তে আটকা পড়েছে শত শত যানবাহন। তীব্র শীতে ভোগান্তিতে পড়েছেন চালক ও যাত্রীরা।
বিজ্ঞাপন
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) দৌলতদিয়া কার্যালয়ের সহকারী ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) জামাল হোসেন এই তথ্য জানান।
এদিকে ঘন কুয়াশায় ফেরির দিক নির্দেশনামূলক বাতির আলো ম্লান হওয়ার কারণে পদ্মা নদীর মাঝখানে সাধারণ যাত্রী ও পরিবহন নিয়ে একটি ফেরি আটকা পড়েছে বলে জানিয়েছেন বিআইডব্লিটিসি আরিচা কার্যালয়ের সহকারী ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) মহীউদ্দীন রাসেল।
আজ বৃহস্পতিবার (২৩ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৬টায় ঢাকা পোস্টকে তিনি বলেন, দুর্ঘটনা এড়াতে বুধবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে ফেরিটি মাঝ নদীতে নোঙর করে। এরপর রাত সাড়ে ১২টা থেকে ফেরি চলাচল বন্ধ রেখেছে ঘাট কর্তৃপক্ষ।
পাটুরিয়া ঘাট প্রান্তে ৫টি ও দৌলতদিয়া ঘাট প্রান্তে ৮টি ফেরি নিরাপদে রয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন।
জামাল হোসেন ঢাকা পোস্টকে বলেন, বুধবার সন্ধ্যার পর থেকেই নদী এলাকায় কুয়াশা পড়তে শুরু করে। রাত সোয়া ১২টার দিকে কুয়াশার ঘনত্ব এতই বেড়ে যায় যে ফগ লাইট দিয়েও (দূরে দেখা যাচ্ছিল না) কাজ হচ্ছিল না। এজন্য দুর্ঘটনা এড়াতে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌ রুটে সাময়িকভাবে ফেরি বন্ধ রাখা হয়েছে। কুয়াশার ঘনত্ব কমে এলে ফেরি চলাচল আবার স্বাভাবিক হবে।
রাজবাড়ী জেলা ট্রাফিক বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ফেরি বন্ধ থাকার কারণে দৌলতদিয়া প্রান্তে দীর্ঘ যানজট সৃষ্টি হয়েছে। ফেরিঘাটের জিরো পয়েন্ট থেকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের চার কিলোমিটার এলাকায় প্রায় চার শতাধিক যাত্রীবাহী বাস, ট্রাক ও প্রাইভেটকার আটকা পড়েছে এবং গোয়ালন্দ মোড় থেকে রাজবাড়ীর দিকে আরও দুই কিলোমিটার এলাকায় দুই থেকে তিন শতাধিক পণ্যবাহী ট্রাক আটকা পড়ে আছে।
এদিকে পাটুরিয়া ঘাট এলাকায় পরিবহন বাস, ব্যক্তিগত ছোট গাড়ি ও সাধারণ পণ্যবাহী ট্রাক মিলে প্রায় সহস্রাধিক যানবাহন নদী পারের অপেক্ষায় আছে বলে জানিয়েছেন মহীউদ্দীন রাসেল। কুয়াশা কমলে পুনরায় ফেরি চলাচল শুরু হবে। তখন সিরিয়াল অনুযায়ী অপেক্ষমাণ এসব যানবাহন পার করা হবে বলে জানান তিনি।
মীর সামসুজ্জামান/সোহেল হোসেন/এইচকে