খালেদা জিয়াকে আইনের দোহাই দিয়ে বিদেশে যেতে দিচ্ছে না
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, ‘সরকার সার্চ কমিটির মাধ্যমে নির্বাচন কমিশনের নামে ছাগল খুঁজছে। ফলে এই সরকারের অধীনে বিএনপি কোনো নির্বাচনে যাবে না। এমনকি ঘরে বসেও থাকবে না। একতরফা নির্বাচন প্রতিহত করা হবে।’
বুধবার (২২ ডিসেম্বর) বিকেলে যশোর টাউন হল ময়দানে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার দাবিতে জেলা বিএনপি আয়োজিত গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বিজ্ঞাপন
গণসমাবেশে মির্জা আব্বাস আরও বলেন, ‘রক্তের বিনিময়ে স্বাধীন করা এ দেশের সরকারকে বিদেশে মাফিয়াদের দেশ বলে চেনে। এর থেকে দেশকে বের করতে হবে। এ দেশে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা মুক্তি পেয়ে বিদেশে চলে যায়। অথচ বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে আইনের দোহাই দিয়ে বিদেশে যেতে দিচ্ছে না।’
তিনি বলেন, এ সরকার চায় খালেদা জিয়াকে আটকে রাখতে। কারণ, তারা মনে করেন খালেদা জিয়া দেশের বাইরে গেলে এ সরকার টিকে থাকতে পারবে না। তবে তাকে আটকে রেখেও শেষ রক্ষা হবে না। বিএনপি নেতাকর্মীরা আন্দোলনের মাধ্যমে আপনাদের পতন ঘটাবে।
যশোর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপিকা নার্গিস বেগমের সভাপতিতে সমাবেশে বিশেষ অতিথি কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট নিতাই রায় চৌধুরী বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য আইনগত কোনো বাধা নেই— আইনমন্ত্রী আমাদের এই কথা বললেও তারা সেই ব্যাপারে কোনো ব্যবস্থা নেননি।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের কেউই মুক্তিযুদ্ধ করেননি; এমনকি ৩০ লাখ শহীদের মধ্যে তাদের কেউ নেই। কেননা যুদ্ধ শুরু হলে তারা সব পালিয়ে ভারতে চলে যায়। সেই সময় মেজর জিয়া শুধু স্বাধীনতার ঘোষণাই দেননি, সরাসরি মুক্তিযুদ্ধ করেছেন।
তিনি বলেন, আজকের এই মহাসমাবেশ যাতে না হতে পারে, সে কারণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার পেটোয়া বাহিনী দিয়ে যশোরের সব যানবাহন এমনকি রিকশাও বন্ধ করে দিয়েছেন। তার প্রশাসন শহরের সব মাইকের দোকান, ডেকোরেশনের দোকান গতকাল রাতেই বন্ধ করে দেয়। কিন্তু শহিদ জিয়ার সৈনিকরা, খালেদার জিয়ার সৈনিকরা সেসব বাধা উপেক্ষা করে ২০ থেকে ত্রিশ কিমি পথ হেঁটে এই মহাসমাবেশে যোগ দিয়েছে। তিনি যশোরকে বাধা অতিক্রম করার জেলা আখ্যা দিয়ে বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি আন্দোলনের সোপান এখান থেকেই শুরু হলো।
এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন বিশেষ অতিথি চেয়ারপারসনের সাবেক উপদেষ্টা মশিউর রহমান, সহসাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, বিএনপি সহসাংগঠনিক সম্পাদক জয়ন্ত কুণ্ডু, সহ-ধর্মবিষয়ক সম্পাদক অমলেন্দু দাস অপু, সাবেক দফতর সম্পাদক মফিকুল হাসান তৃপ্তি, বিএনপির কেন্দ্র নির্বাহী কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট সাবেরুল হক সাবু প্রমুখ।
উল্লেখ্য, খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি ও বিদেশে চিকিৎসার সুযোগ দেওয়ার দাবিতে বিএনপির কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে তিন দফায় ৩২ জেলায় এ গণসমাবেশ হতে যাচ্ছে। আজ খুলনা বিভাগে কেবল যশোর জেলাতেই এই গণসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
জাহিদ হাসান/এনএ