পটুয়াখালীতে উদ্ভাবিত বারি তরমুজ ১-২ নিবন্ধন পেল
প্রথমবারের মতো দেশেই তরমুজের দুটি জাত উদ্ভাবন করেছেন কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বারি) বিজ্ঞানীরা। পটুয়াখালীর দুমকী উপজেলার লেবুখালী আঞ্চলিক কৃষি উদ্যানতত্ত্ব গবেষণা কেন্দ্রে বারি তরমুজ-১ ও বারি তরমুজ-২ এ জাত দুটি উদ্ভাবন করেন।
সম্প্রতি কৃষি মন্ত্রণালয়ের বীজ বিভাগ এ জাত দুটি নিবন্ধন দিয়েছে। এ নিবন্ধনের মাধ্যমে বারি তরমুজ-১ ও বারি তরমুজ-২ জাত দুটি মুক্তায়িত হলো।
বিজ্ঞাপন
বারি উদ্ভাবিত বারি তরমুজ-১ ও বারি তরমুজ-২ এ থেকে কৃষক ভালো ফলন পাবেন। এর ফলন, আকৃতি ও স্বাদ জাপানি জাতের চেয়ে উন্নত। বারি তরমুজ-১ ও বারি তরমুজ-২ দেশের আবহাওয়া উপযোগী। অমৌসুমে বারি তরমুজ-১ ও বারি তরমুজ-২ ফলন হওয়ায় এর থেকে অধিক লাভবান হবে।
রেজাউল করিম, বারি বিজ্ঞানী, আঞ্চলিক উদ্যানতত্ত্ব গবেষণা কেন্দ্র
আঞ্চলিক উদ্যানতত্ত্ব গবেষণা কেন্দ্র সূত্রে জানা গেছে, হাইব্রিড জাতের এই তরমুজ দেশের সব অঞ্চলে চাষ করা যাবে। বারি তরমুজ-১ ও বারি তরমুজ-২ একটির ভেতরে (মাংসল অংশ) হলুদ, অন্যটির ভেতর (মাংসল অংশ) লাল রঙের। এ জাতটায় প্রতিটি গাছে ২ থেকে ৩টি ফলন হবে, যা গড়ে ৪ থেকে ৫ কেজি পর্যন্ত ওজন হয়। গাছ লাগানোর ৯০ থেকে ১০০ দিন সময় প্রয়োজন হয়। এর মাধ্যমে ৪০ টন পর্যন্ত উৎপাদন সম্ভব।
আঞ্চলিক উদ্যানতত্ত্ব গবেষণা কেন্দ্র বারি বিজ্ঞানী রেজাউল করিম ঢাকা পোস্টকে বলেন, গ্রীষ্মকালে যেসব উন্নত মানের তরমুজ পাওয়া যায়, তা সবই বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানি করতে হয়। এসব বিজ জাপান, চীন, থাইল্যান্ড, ভারত থেকে আমদানি করা সংকর জাতের বীজ। ফলে তরমুজের বীজ আমদানি বাবদ প্রতিবছর প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা খরচ হয়।
এ ছাড়া এসব জাতের বীজের বিশুদ্ধতা ও অঙ্কুরোদগম হার সব সময় ঠিক থাকে না। ফলে দোকান থেকে বিজ কিনে কৃষকরা প্রতারিত হয়ে থাকেন।
তিনি আরও বলেন, বারি উদ্ভাবিত বারি তরমুজ-১ ও বারি তরমুজ-২ এ থেকে কৃষক ভালো ফলন পাবেন। এর ফলন, আকৃতি ও স্বাদ জাপানি জাতের চেয়ে উন্নত। বারি তরমুজ-১ ও বারি তরমুজ-২ দেশের আবহাওয়া উপযোগী। অমৌসুমে বারি তরমুজ-১ ও বারি তরমুজ-২ ফলন হওয়ায় এর থেকে অধিক লাভবান হবে। ফলে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা বাঁচানো সম্ভব এবং এর ফলে বাংলাদেশে এক নতুন মাত্রা যোগ হলো।
মহিব্বুল্লাহ্ চৌধুরী/এনএ