ওয়াজ মাহফিলে আসার জন্য অগ্রিম টাকা নিয়েও আসেননি ইসলামি বক্তা মুফতি ইলিয়াছুর রহমান জিহাদী। গত মঙ্গলবার (১৪ ডিসেম্বর) ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার শিবগঞ্জের আমতলী এলাকার মধ্য মহেষপুর জামে মসজিদের উদ্যোগে বার্ষিক ওয়াজ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। ওই মাহফিলে প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা ছিল ইলিয়াছুর রহমান জিহাদীর। মাহফিলে আসার জন্য অগ্রিম টাকা নিয়েও তিনি আসেননি। 

শনিবার (১৮ ডিসেম্বর) দুপুর ২টার দিকে আমতলী বাজারের সামনে অগ্রিম দেওয়া টাকা ফেরত চেয়ে মুফতি ইলিয়াছুর রহমান জিহাদীর বিচার দাবিতে মানববন্ধন করেন এলাকাবাসী। তারা ইলিয়াছুর রহমান জিহাদীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন। 

মাহফিল কমিটির সাধারণ সম্পাদক দবিরুল ইসলাম বলেন, আমি নিজেসহ সবাই মিলে ইলিয়াছুর রহমান জিহাদীর সঙ্গে কয়েক দফায় যোগাযোগ করি। মাহফিলে আসার জন্য দুই বারে আমরা তাকে ৮০ হাজার টাকা দেই। কিন্তু তিনি মাহফিলে আসেননি। আমরা খবর পেয়েছি তিনি বেশী অংকের টাকা পেয়ে সিরাজগঞ্জের জামালপুরে মাহফিল করেছেন। আমরা তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই। 

স্থানীয় বাসিন্দা আহসান হাবীব বলেন, আমরা এলাকার যুব সমাজ ১৫-২০ দিন থেকে অক্লান্ত পরিশ্রম করে মাহফিলটি আয়োজন করি। আমরা অনেক আনন্দিত ছিলাম, আমাদের সবার বাসায় মেহমান ছিল। কিন্তু ৮০ হাজার টাকা নিয়েও মুফতি ইলিয়াছুর রহমান জিহাদী মাহফিলে না এসে আমাদের সঙ্গে প্রতারণা করেছেন। আমরা টাকা ফেরত চাই এবং সারাদেশে তারা বয়কট করা হোক। 

মাহফিলের স্বেচ্ছাসেবক মনারুল ইসলাম বলেন, আমাদের যুব সমাজের আয়োজনে ওই মাহফিলে ১৪ ডিসেম্বর আসার তারিখ দিয়েছিলেন মুফতি ইলিয়াছুর রহমান জিহাদী। তিনি আমাদের কাছে ৮০ হাজার টাকা নিয়েছেন। কিন্তু তিনি আসেননি আমাদের সঙ্গে বাটপারি ও প্রতারণা করেছেন। বলেছেন তিনি অসুস্থ, কিন্তু তিনি একই দিনে আরেক জায়গায় মাহফিল করেছেন। 

মাহফিল কমিটির সার্বিক তত্ত্বাবধায়ক রবিউল ইসলাম বলেন, এলাকাবাসীর অক্লান্ত পরিশ্রমে আমরা মাহফিলটির আয়োজন করেছিলাম। ইলিয়াছুর রহমান জিহাদীকে বিকাশ, নগদ ও সরাসরি ৮০ হাজার টাকা দিয়েছিলাম। তিনি ১৩ তারিখে ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুরে মাহফিল করেন এবং মাহফিল মঞ্চে আমাদের মাহফিলে আসার জন্য মানুষকে দাওয়াত করেন। কিন্তু তিনি টাকা নিয়েও আমাদের মাহফিলে আসেননি। আমরা আমাদের টাকা ফেরত চাই এবং ইলিয়াছুর রহমান জিহাদীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।

এম এ সামাদ/আরএআর