বিয়ের জন্য চাপ দেওয়ায় পরকীয়া প্রেমিকাকে মেরে ফেলল প্রেমিক
পরকীয়ার টানে ময়মনসিংহ থেকে ফরিদপুরে এসে লাশ হলেন সুফিয়া খাতুন (৩১ ) নামে এক নারী। গত রোববার (১২ ডিসেম্বর) দুপুরে ফরিদপুর সদরের মাচ্চর ইউনিয়নের খলিলপুর এলাকার একটি খাল থেকে অজ্ঞাত পরিচয় হিসেবে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরে পুলিশি তদন্তে সুফিয়ার পরিচয় শনাক্ত হয়। তিনি প্রেমের টানে ফরিদপুর এসে খুন হয়েছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (১৬ ডিসেম্বর) বিকেল ৩টার দিকে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম এ জলিল সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান।
বিজ্ঞাপন
তিনি আরও জানান, সুফিয়া বেগম ময়মনসিংহ জেলার নান্দাইল উপজেলার কচুরি গ্রামের নুরুল ইসলামের মেয়ে। ১২ বছর আগে চাচাতো ভাই মো. সুমন মিয়ার (৩৭) সঙ্গে তার বিয়ে হয়। তাদের আট বছর বয়সী একটি ছেলে সন্তান রয়েছে। এক বছর আগে ইলেকট্রিক মিস্ত্রি ফরিদপুর সদরের মাচ্চর ইউনিয়নের শিবরামপুর ছোট বটতলা এলাকার বাসিন্দা রিপন মল্লিকের (১৯) সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন সুফিয়া। এ ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর স্বামী সুমন মিয়া তাকে তালাক দেন।
এ ঘটনার পর সুফিয়া প্রেমিক রিপনকে বিয়ে করার জন্য চাপ দিচ্ছেলেন। কিন্তু রিপন নিজের বয়স কমের অজুহাতে বার বার তাকে ঘুরাচ্ছিলেন। এরই একপর্যায়ে রিপন গত ১১ ডিসেম্বর সুফিয়াকে বিয়ে করার কথা বলে ফরিদপুরে নিয়ে আসেন। ফরিদপুরের শিবরামপুর আসার পর রাত হয়ে যায়। পরে রিপন তাকে ওই খালপাড়ের একটি মেহগনি বাগানে নিয়ে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে মরদেহটি পাশের খালের পানিতে ফেলে দেন।
ওসি এম এ জলিল বলেন, মরদেহটি উদ্ধারের পর পিবিআই ও সিআইডির মাধ্যমে পরিচয় শনাক্ত করা হয়। গত ১৪ ডিসেম্বর নিহত সুফিয়ার ভাই রফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত রিপন মল্লিককে গতকাল বুধবার (১৫ ডিসেম্বর) রাতে গাজীপুরের গাছা এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) প্রসাদ কুমার চাকী বলেন, বৃহস্পতিবার(১৬ ডিসেম্বর) বিকেলে রিপন মল্লিকের সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে ফরিদপুরের এক নম্বর আমলি আদালতে সোপর্দ করা হয়। আদালতের বিচারক অরুপ বসাক এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
জহির হোসেন/আরএআর