বিজয় দিবসে কক্সবাজার সৈকতে পর্যটকের ঢল
মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে ও মৌসুমের শুরুতেই কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে পর্যটকদের ভিড় বেড়েছে। বেশির ভাগ পর্যটকের আগমন ঘটেছে দুদিন আগ থেকেই। সেই ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকবে আগামী মার্চ পর্যন্ত।
ইতোমধ্যে হোটেল-মোটেলের বেশির ভাগ কক্ষ অগ্রিম বুকিং হয়ে গেছে। আর পর্যটকদের নিরাপত্তা দিতে প্রস্তুতি নিয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও জেলা প্রশাসন। তবে বরাবরের মতোই রয়ে গেছে স্বপ্নের কক্সবাজারে এসে হোটেল ভাড়া-বাণিজ্যের অভিযোগ।
বিজ্ঞাপন
হোটেল ব্যবসায়ীরা বলছেন, পর্যটন মৌসুম শুরু হয়েছে। হোটেলগুলোর প্রায় সব রুম বুকিং আছে। মূলত প্রতিবছরের ডিসেম্বর মাস থেকে পর্যটন মৌসুম শুরু হয়। সেটা চলে মার্চ মাস পর্যন্ত। এর ধারাবাহিকতায় এবারও পর্যটন মৌসুম শুরু হয়েছে। আমরা আশা করছি এবার ব্যবসা ভালো হবে। কারণ, দেশে রাজনৈতিক পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে।
এ ছাড়া কক্সবাজারের প্রশাসন পর্যটকদের নিরাপত্তা নিয়ে বেশ সচেতন আছে। রুম ভাড়া বেশি বাড়ানো হয়নি। তবে অফ সিজনের চেয়ে কিছুটা বাড়তি রাখা হচ্ছে। সেটা না রাখলে আমরা ব্যবসা করতে পারব না বলে দাবি করেন তিনি।
বেড়াতে আসা পর্যটক শফিক বলেন, আমি বরিশাল থেকে এখানে এসেছি। মূলত বছরের শেষে পরিবার নিয়ে কিছুটা সময় কাটাতে কক্সবাজারে এলাম। আমিসহ পরিবারের সবার কক্সবাজার খুব প্রিয় জায়গা। এখানে ঘুরে বেড়াতে খুব ভালো লাগে। চার দিন থাকব। এ সময় কক্সবাজারের বিভিন্ন দর্শনীয় স্থান ঘুরে বেড়াব। আর সম্ভব হলে এক দিন সেন্ট মার্টিন ঘুরে আসব।
চট্টগ্রাম থেকে আসা পর্যটক আজগর জুনাইয়েত চৌধুরী বলেন, সাগরের কারণে কক্সবাজারের সৌন্দর্য বাড়লেও রাস্তাঘাটের অবস্থা খুবই খারাপ। আর শহরের বেশির ভাগ জায়গায় যানজট। এ ছাড়া যেখানেই যাই সবকিছুর দাম বেশি। সামান্য ওষুধ কিনতে গেছি, সেখানে নির্দিষ্ট দামের চেয়ে বেশি দাম রাখছে।
ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার জোনের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ঢাকা পোস্টকে বলেন, পর্যটন মৌসুম শুরু হয়েছে। বিজয় দিবস ও মৌসুমকে ঘিরে কক্সবাজারে বিপুলসংখ্যক পর্যটক আসছে। সে জন্য আমাদের পক্ষ থেকে পর্যটকদের নিরাপত্তায় ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। শুধু বিচে নয়, সব জায়গায় আমাদের পুলিশ সদস্যরা কাজ করছেন।
এনএ