ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী

নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের (নাসিক) সদ্য সাবেক মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী বলেছেন, আমি সব সময়ই সুষ্ঠু নির্বাচনের পক্ষে। আমি এর আগে যখন ২০১১ সালের সিটি নির্বাচনে বিদ্রোহী হয়ে নির্বাচন করেছিলাম, তখনো বলেছি এখনো বলি। আমার জোরালো দাবি ছিল সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন।

বুধবার (১৫ ডিসেম্বর) বিকেলে শহরের দেওভোগের নিজ বাড়িতে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।

নাসিক নির্বাচনে নৌকার প্রার্থী আইভী বলেন, স্থানীয় সরকার নির্বাচনে আগে মার্কা ছিল না, কিন্তু দল সমর্থিত প্রার্থী থাকতে পারে। সেই ক্ষেত্রে তার (বিএনপি প্রার্থীর) কী কৌশল তা আমার জানার কথা না। তবে প্রতীক মুখ্য বিষয় নয়, ব্যক্তি ইমেজের একটা ব্যাপার আছে। দেখা যাক কী হয়। আমি সরকারি দলের হয়ে তৃতীয় বারের মতো নির্বাচন করছি। পৃথিবীর সব জায়গায় ইভিএম পদ্ধতিতে নির্বাচন হচ্ছে। ভুল ত্রুটি যা আছে তা আস্তে আস্তে ঠিক হবে। এবার ইভিএমে নির্বাচনকে আমি স্বাগত জানাচ্ছি।

এর আগে নাসিক নির্বাচনের মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিনে সেলিনা হায়াৎ আইভীর পক্ষে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের একাংশের নেতারা। এ সময় সেলিনা হায়াৎ আইভী তার নিজ বাড়িতে অবস্থান করছিলেন বলে জানা গেছে। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পর সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন তারা।

এ সময় নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন বলেছেন, সারাদেশে সারাবিশ্বে ইভিএমে নির্বাচন হচ্ছে। বাংলাদেশে এর আগেও ইভিএমে নির্বাচন হয়েছে। নারায়ণগঞ্জেও এর আগে ইভিএমে নির্বাচন হয়েছে। কেউ কেউ নিজের পরাজয় আড়াল করতে ইভিএমের ওপর দোষ চাপিয়ে দিচ্ছে। আসলে ইভিএমে নির্বাচন হলেই কারচুপি হবে এমন কোনো কথা না।

এ সময় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট আনিসুর রহমান দিপু বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনার মনোনীত প্রার্থী সেলিনা হায়াৎ আইভীর পক্ষে আমরা ঐক্যবদ্ধ আছি। আগামী ১৬ জানুয়ারির যে নির্বাচন সে নির্বাচনে ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী বিপুল ভোটে নির্বাচিত হবে। আমরা একত্রিত আছি, আমরা ঐক্যবদ্ধ আছি। এখানে বিরোধিতার কিছু নেই। আওয়ামী লীগ একটা বড় দল এখানে নেতৃত্বের প্রতিযোগিতা থাকে। অনেকেই মনোনয়ন চাইতে পারে। যোগ্য ব্যক্তিই মনোনয়ন পেয়েছেন, আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ আছি। 

রাজু আহমেদ/আরএআর