ইনসেটে নিহত ইয়াসিন আলম

পাবনা সদর উপজেলার ভাঁড়ারা ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে নৌকার প্রার্থী ও বিদ্রোহী প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে গোলাগুলিতে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী ইয়াসিন আলম (৪০) নিহত হওয়ার ঘটনায় চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছে। শনিবার (১১ ডিসেম্বর) বিকেলে পাবনা জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। 

তিনি বলেন,  স্বতন্ত্র প্রার্থী ইয়াসিন আলমের মৃত্যুতে ভাঁড়ারা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদের নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছে। তবে সদস্য পদে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। নিয়ম অনুযায়ী যদি কোনো প্রার্থী মারা যান বা সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হন, তাহলে সেখানকর নির্বাচন স্থগিত ঘোষণা করা হয়।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সকালে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থী (ঘোড়া মার্কা) সুলতান মাহমুদের ১৫-২০ জন সমর্থক নির্বাচনী প্রচারণায় বের হন। এ সময় আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান আবু সাঈদ খানের লোকজনের সঙ্গে ব্যাপক গোলাগুলি হয়। এতে সুলতান মাহমুদের চাচাতো ভাই স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী ইয়াসিন আলমসহ দুই পক্ষের অন্তত ২৫ জন গুরুতর আহত হয়। পরে তাদের উদ্ধার করে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ইয়াসিন আলমকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার সময় তিনি মারা যান। এ ঘটনায় আরও ৪/৬ জন আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছে বলে জানা গেছে।

এদিকে ইয়াসিন আলম হত্যার ঘটনায় পরিবারসহ পুরো ইউনিয়নে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। মরদেহ নিয়ে নিহতের স্বজন ও এলাকাবাসী বিক্ষোভ মিছিল ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন। এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষার্থে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

নির্বাচনে দায়িত্বপ্রাপ্ত রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা কায়সার আহমেদ ঢাকা পোস্টকে জানান, ভাঁড়ারা ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে নৌকার প্রার্থীসহ তিনজন মনোনয়নপত্র জমা দেন। এর মধ্যে ইয়াসিন আলম স্বতন্ত্র প্রার্থী ছিলেন। তিনি নিহত হওয়ায় চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছে। এ সংক্রান্ত একটি চিঠি নির্বাচন কমিশনে পাঠানো হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশনা না আসা পর্যন্ত চেয়ারম্যান পদের নির্বাচন স্থগিত থাকবে।

প্রসঙ্গত, আগামী ২৬ ডিসেম্বর চতুর্থ ধাপে পাবনা সদর উপজেলার ১০ ইউনিয়নে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।

রাকিব হাসনাত/আরএআর