বান্দরবান পার্বত্য জেলায় বাঙালির পাশাপাশি ১১টি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী সম্প্রদায়ের বসবাস। বাংলা ভাষার পাশাপাশি এসব ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী সম্প্রদায়ের লোকজন ১১ ভাষায় কথা বলেন। আর তাই আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ভোটারদের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য স্ব স্ব ভাষায় পোস্টার ছাপিয়ে কেউ কেউ চালাচ্ছেন নির্বাচনী প্রচারণা।

উপজেলার তিনজন রিটার্নিং কর্মকর্তার তথ্য মতে, চার ইউনিয়নের মধ্যে ১ নং রেমাক্রী ইউপিতে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ মনোনীত বর্তমান চেয়ারম্যান মুইশৈথুই মারমা ও স্বতন্ত্র প্রার্থী চসিংমং মারমা লড়ছেন। এছাড়া সংরক্ষিত নারী আসনে সাতজন, সাধারণ সদস্য ২৭ জন মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। এর মধ্যে দুটি ওয়ার্ডে একজন করে একক প্রার্থী মনোনয়ন জমা দিয়েছেন।

রেমাক্রী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী মুইশৈথুই মারমা বাংলা, ম্রো ও মারমা ভাষায় পোস্টার তৈরি করছেন। তার মতো অনেক প্রার্থীই তৈরি করছেন ভিন্ন ভাষার পোস্টার।

মুইশৈথুই মারমা বলেন, বান্দরবানে ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর মানুষদের বসবাস। এসব জাতিগোষ্ঠীর মধ্যে প্রচুর সংখ্যক বয়স্ক লোকজন আছেন। তারা যাতে নিজ ভাষায় পোস্টারের লেখা বুঝতে পারেন, তাই ভিন্ন ভিন্ন ভাষায় পোস্টার করা হয়েছে।

বান্দরবানসহ অপর দুই পার্বত্য জেলা রাঙামাটি ও খাগড়াছড়িতেও ভিন্ন ভাষায় পোস্টার তৈরির রীতি নতুন নয়। এর আগে জাতীয় সংসদ নির্বাচন, উপজেলা পরিষদ নির্বাচন ও পৌর নির্বাচনে প্রার্থীরা বিভিন্ন ভাষায় পোস্টার ও লিফলেট তৈরি করে নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা চালিয়েছেন।

থানচি উপজেলার নির্বাচন কর্মকর্তা তরুন কুমার চাকমা বলেন, পাহাড়ে বিভিন্ন জাতি গোষ্ঠীর বসবাস। তাই নির্বাচনে নিজেদের কথা তুলে ধরতে প্রার্থীরা বিভিন্ন ভাষায় পোস্টার তৈরি করেন। অন্য ভাষায় পোস্টার তৈরি করতে নির্বাচনী আইনে কোনো বাধা নেই।

প্রসঙ্গত, বান্দরবানের থানচি উপজেলার চার ইউনিয়নে আগামী ২৬ ডিসেম্বর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

এসপি