পাহাড়ে উঠে নামতে না পারা পর্যটকদের উদ্ধার করল ফায়ার সার্ভিস
কষ্ট করে পাহাড়ের চূড়ায় উঠেছেন তিন পর্যটক, কিন্তু শত চেষ্টায়ও আর নিচে নামতে পারেননি। শুধু এই তিন পর্যটক নন, তাদের গাইড দেওয়া স্থানীয় আরও দুজন আটকে ছিলেন প্রায় চার ঘণ্টা।
হন্য হয়ে উপায় খুঁজতে খুঁজতে তাদের মাথায় আসে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ কল করার বিষয়টি। ফোন করার সঙ্গে সঙ্গে পান সাড়া। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা দুই ঘণ্টার চেষ্টায় উদ্ধার করেন তাদের।
বিজ্ঞাপন
শুক্রবার (২৯ জানুয়ারি) বিকেল ৩টায় সীতাকুণ্ডের অগ্নিকুণ্ড পাহাড়ে ঘটনাটি ঘটে। উদ্ধার হওয়া তিন পর্যটক হলেন- নোয়াখালীর সুধারাম থেকে ঘুরতে আসা শাহরিয়ার ইমন, লক্ষ্মীপুরের চন্দ্রগঞ্জ থানার হাবিবুন নবী ও নোয়াখালীর সুবর্ণচরের দেলোয়ার হোসেন। আর তাদের গাইড দেওয়া দুজন হলেন- সীতাকুণ্ডের মো. সানি ও মো. নাহিদ।
সীতাকুণ্ডের সিনিয়র ফায়ার স্টেশন অফিসার নুরুল আলম দুলাল ঢাকা পোস্ট-কে জানান, শুক্রবার দুপুর ২টার দিকে দুজন গাইড নিয়ে ওই তিন পর্যটক সীতাকুণ্ডের অগ্নিকুণ্ড পাহাড়ের চূড়ায় একটি ঝর্ণা দেখতে ওঠেন। ঝর্ণা দেখা শেষ হওয়ার পর অনেক চেষ্টার করেও আর নিচে নামতে পারেননি। কারণ ওঠা ও নামার সিঁড়িটি অনেক ঢালু। ওঠা অনেকটা সহজ হলেও, নামার সময় খুব বেশি রিস্ক (ঝুঁকি)।
তারা হন্য হয়ে উপায় খুঁজতে থাকেন, কী করা যায়? পরে তারা ৯৯৯-এ কল করেন, সেখান থেকে সীতাকুণ্ড ফায়ার স্টেশনকে অবহিত করা হয়। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এসে দুই ঘণ্টার চেষ্টায় তাদের করে।
নুরুল আলম দুলাল বলেন, তারা কল করে বিকেল ৩টা ১৫ মিনিটের দিকে। আর আমরা উদ্ধার কাজ শেষ করি ৫টা ২০ মিনিটে। পরে তাদের সীতাকুণ্ড থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
সীতাকুণ্ড থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. আশরাফ সিদ্দিক ঢাকা পোস্ট-কে বলেন, ওই তিন পর্যটককে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। তাদের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাদের পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
সাগর, নদী, পাহাড়, লেক, ঝর্ণা, বন, মন্দির, উপজাতি মিলিয়ে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড পর্যটকদের জন্য দিন দিন আকর্ষণীয় হয়ে উঠছে। সীতাকুণ্ডের চারপাশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখে কাটিয়ে দেয়া যায় ২-৩ দিন। এখানে রয়েছে ভিন্ন ধরনের গুলিয়াখালী সমুদ্র সৈকত, বাঁশবাড়িয়া সমুদ্র সৈকত, সন্দ্বীপ ঘাট, কুমিরা ঘাট, চন্দ্রনাথ মন্দির, মহামায়া লেক, সুপ্তধারা ঝর্ণা, কমলদাহ ঝর্ণা, ইকো পার্কসহ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের আরও নানান কিছু।
এফআর