রাজশাহী নগরীতে বৈদ্যুতিক খুঁটিতে উঠে লাইন সংযোগের কাজ করতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়েছেন রেজাউল ইসলাম (৩৮) নামে এক ব্যক্তি। রোববার (৫ ডিসেম্বর) বেলা পৌনে ১টার দিকে নগরীল পাঠানপাড়া সাব স্টেশন এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।  

বিকেলে সাড়ে ৫টার দিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিভাগীয় চিকিৎসকসহ আইসিইউ অ্যাম্বুলেন্সে তাকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। 

দুর্ঘটনার শিকার রেজাউল ইসলাম চন্দ্রিমা থানা এলাকার মুসরইল এলাকার মো. আলাউদ্দিনের ছেলে। তিনি নর্দান ইলেক্ট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেডের (নেসকো) গাড়ির হেলপার। 

কিন্তু প্রায়ই তাকে বৈদ্যুতিক কাজে পাঠানো হতো। দুর্ঘটনার সময় তার কোনো নিরাপত্তা সরঞ্জাম ছিল না। বাঁশের মই বেয়ে বৈদ্যুতিক খুঁটিতে উঠেছিলেন তিনি। 

জানা গেছে, দুর্ঘটনার পর তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়। তার শরীরে প্রায় ৪০ শতাংশ পুড়ে গেছে। এছাড়া একাধিক জখম হয়েছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক।

দুর্ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন নগরীর বোয়ালিয়া মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নিবারণ চন্দ্র বর্মন। তিনি জানিয়েছেন, রেজাউল তার কাজ শেষ করে নিচে নামছিলেন। কিন্তু, তখন ৩৩ কেভিএ-এর ওপর একটি তার পড়েছিল।

পরে নিচে দাঁড়িয়ে থাকা নেসকোর এক কর্মকর্তা তারটি সরিয়ে দিতে বলেন। এ সময় রেজাউল আবার ওপরে উঠে জানতে চান সংযোগ লাইন বিচ্ছিন্ন কীনা, তখন ওই কর্মকর্তা জানান লাইন বিচ্ছিন্ন আছে। কিন্তু, রেজাউল তারটি সরাতে গেলেই বিদ্যুস্পৃষ্ট হয়ে নিচে পড়ে যান।

এ বিষয়ে নেসকোর তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী শিরিন ইয়াসমিন জানান, প্রাথমিক অনুসন্ধানে দেখা গেছে রেজাউল যে কাজের জন্য ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন তা সম্পন্ন করেছিলেন। নিচে নেমে আসার সময় অন্য একটি সমস্যা চিহ্নিত করে তার সমাধান করতে গিয়ে দুর্ঘটনার মুখে পড়েন।

ঘটনাটা তদন্তে একজন সহকারী পরিচালকের নেতৃত্বে ৩ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। প্রতিবেদন পেলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এ বিষয়ে জানতে কয়েক দফা চেষ্টা করেও নেসকোর ব্যবস্থাপনা পরিচালক জাকিউল ইসলামের মোবাইলে সংযোগ পাওয়া যায়নি।

তবে নেসকোর নির্বাহী প্রকৌশলী অনিত কুমার রায় দাবি করেন, রেজাউল গাড়ির ড্রাইভারের নয়, লাইনম্যানদের সাহায্যকারী হিসেবে নিযুক্ত ছিলেন। 

তিনি বৈদ্যুতিক কাজ এবং যানবাহন চালনা উভয় ক্ষেত্রে দক্ষ ছিলেন বলেও দাবি করেন নির্বাহী প্রকৌশলী। একই সঙ্গে তাকে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা সরঞ্জাম সরবরাহের দাবি করেন।

ফেরদৌস সিদ্দিকী/এমএএস