মালিকবিহীন গরু লালন-পালন করছে পুলিশ
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ থেকে উদ্ধার হওয়া চারটি গরু থানায় রেখে লালন-পালন করছে পুলিশ। মালিকবিহীন এই গরুগুলোকে লালন-পালনের পাশাপাশি প্রকৃত মালিকের খোঁজে বিভিন্ন স্থানে বার্তাও পাঠিয়েছি পুলিশ। গত চার দিন ধরে মালিকবিহীন এই গরুগুলো থানায় রয়েছে।
শনিবার (৪ ডিসেম্বর) সকালে গোয়ালন্দ ঘাট থানা প্রাঙ্গণে গিয়ে দেখা যায়, পুলিশ কনস্টেবল নুরুজ্জামান মিয়া পুলিশের গ্যারেজ থেকে গরুগুলো বাইরে আনছেন। অন্যদিকে গরুর খাবার প্রস্তুত করছেন পুলিশের আরেক সদস্য রকিবুল ইসলাম।
বিজ্ঞাপন
খোলা আকাশের নিচে রাখলে ক্ষতি হবে বলে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ আল তায়েবীরের নির্দেশনায় গরুগুলোকে থানার গাড়ি রাখার গ্যারেজে রাখা হয়। থানা প্রাঙ্গণে দিনের বেলায় খোলা আকাশের নিচে গরুগুলোকে খড়-ভুসি খাওয়াচ্ছেন পুলিশ সদস্যরা।
থানা সূত্রে জানা যায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গত বুধবার (১ ডিসেম্বর) রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়ার চর কর্ণেশনা কলাবাগান এলাকা থেকে চারটি গরুসহ ওই এলাকার মৃত সালাম শেখের দুই ছেলে জামাল শেখ (৩০) ও হারুন শেখকে আটক করে পুলিশ। রোববার (৫ ডিসেম্বর) গরুর ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে এবং চোর চক্রের মূলহোতা একই এলাকার গাজি কসাই ও চুন্নু কসাইকে খুঁজতে আটক দুই ব্যক্তির সাতদিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে আবেদন করা হবে।
থানায় সাধারণ ডায়েরি করতে আসা মো. মতিয়ার শিকদার বলেন, চারটি গরুর মধ্যে কালো রংয়ের গরুটি গাভি। অন্য দুটি আইড়ে বাছুর ও একটি বকনা বাছুর। পুলিশ সদস্যরা গরুগুলোর জন্য যা করছেন সেটা প্রশংসার দাবি রাখে।
গরু লালন-পালন করা পুলিশ সদস্য মো. নুরুজ্জামান বলেন, গ্রাম থেকে উঠে এসে পুলিশের চাকরি করছি। গত চার দিন ধরে স্যারের (ওসি) নির্দেশে গরুগুলোকে লালন-পালন করছি। পুলিশি সেবার বাইরে গরুগুলো লালন-পালন করতে ভালো লাগছে।
গোয়ালন্দ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ আল তায়েবী বলেন, আমরা গরুগুলোকে প্রকৃত মালিকের কাছে হস্তান্তর করতে চাই। সেই তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে। যেহেতু গরুগুলো জব্দ করা রয়েছে। সেক্ষেত্রে বিজ্ঞ আদালতের নির্দেশনা ছাড়া আমরা কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারছি না। রোববার (৫ ডিসেম্বর) বিজ্ঞ আদালতে গরুর ব্যাপারে নির্দেশনা চাওয়ার পাশাপাশি চোরদের সাত দিনের রিমান্ড চাওয়া হবে।
রাজবাড়ীর পুলিশ সুপার এম এম শাকিলুজ্জামান বলেন, প্রকৃত মালিক খুঁজে না পাওয়া পর্যন্ত গরুগুলো গোয়ালন্দ থানায় রাখা হবে। থানার পুলিশ সদস্যরা গরুগুলোর যত্ন নেবে।
মীর সামসুজ্জামান/আরএআর