সকাল থেকেই ভোট দেওয়ার জন্য লাইনে দাঁড়িয়ে ছিলেন বর্নিতা খাতুন। কোলে শিশুসন্তান। লাইন দীর্ঘ থাকায় অনেকক্ষণ অপেক্ষা করতে হচ্ছিল তাকে। কিন্তু কিছুক্ষণ পরই কান্নাকাটি শুরু করে শিশুসন্তান আকাশ। সন্তান কান্না করায় তাকে কোলে নিয়ে লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা অনেক কষ্টকর হচ্ছিল বর্নিতার। পাশেই দায়িত্ব পালন করছিলেন পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. আশরাফুল আলম। তিনি শিশুটির কান্না সহ্য করতে না পেরে নিজেই কোলে তুলে নিলেন। 

তৃতীয় ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে রোববার (২৮ নভেম্বর) বেলা ১১টার দিকে মাগুরা জেলার শালিখা উপজেলার আড়পাড়া ইউনিয়নের কৃষ্ণপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে এমন দৃশ্য চোখে পড়ে।

জানতে চাইলে দায়িত্বরত পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. আশরাফুল আলম ঢাকা পোস্টকে বলেন, অনেকক্ষণ ধরে ছোট্ট সন্তানকে কোলে নিয়ে ওই নারী লাইনে দাঁড়িয়ে ছিলেন। বাচ্চার উচ্চস্বরে কান্নার শব্দে তার লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে খুব কষ্ট হচ্ছিল। তাই ভোট দিতে সহযোগিতা করার জন্য আমি শিশুটিকে কোলে নিয়ে কিছুক্ষণ হাঁটতে থাকি। এরপর শিশুর কান্না বন্ধ হয়ে যায়।

ভোট দেওয়া শেষে নিজের সন্তানকে কোলে তুলে নেন বর্নিতা খাতুন। এ সময় ঢাকা পোস্টকে তিনি বলেন, আমার মনি খুব কান্নাকাটি করছিল। তাই দেখে এই পুলিশ ভাই আমার মনিকে কোলে তুলে নেন। ভোটদানে সহযোগিতা করে পুলিশ কর্মকর্তা মানবিকতার পরিচয় দিয়েছেন।

একেএম/এসপি