ফাইল ছবি

রিজেন্ট হাসপাতাল ও রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান সাহেদ করিমের বিরুদ্ধে অস্ত্র ও বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলায় সাতক্ষীরার জেলা ও দায়রা জজ আদালতে চার্জগঠন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৮ জানুয়ারি) দুপুর ১২টার দিকে সাহেদকে জেলা ও দায়রা জজ শেখ মফিজুর রহমানের আদালতে হাজির করা হয়।

আদালত শুনানি শেষে আগামী ২৩ ফেব্রুয়ারি সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য করেছেন। পৃথক দুটি মামলায় সাহেদ করিমের বিরুদ্ধে এ চার্জগঠন করা হয়। মামলা দুটির বাদী র‌্যাব-৬ খুলনার পুলিশ পরিদর্শক মো.নজরুল ইসলাম।

আদালতে সাহেদ করিমের আইনজীবী আবু বক্কর সিদ্দিকী বলেন, আদালতে সাহেদ করিমকে হাজির করা হলে শুনানি শেষে বিচারক শেখ মফিজুর রহমান ২৩ ফেব্রুয়ারি পৃথক দুটি মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য করেছেন।

উল্লেখ্য, ২০২০ বছরের ১৫ জুলাই ভোরে সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলার শাখরা কোমরপুর এলাকা দিয়ে ভারতে পালানোর চেষ্টাকালে সাহেদ করিমকে গ্রেফতার করেন র‌্যাব সদস্যরা। এ সময় তার কাছ থেকে একটি অবৈধ পিস্তল, তিন রাউন্ড গুলি, ২৩৩০টি ভারতীয় রুপি, ৩ ব্যাংকের এটিএম কার্ড ও মুঠোফোন জব্দ করে। 

এ ঘটনায় র‌্যাবের ডিএডি নজরুল ইসলাম বাদী হয়ে ওইদিনই অস্ত্র ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে দেবহাটা থানায় মামলা করেন। মামলায় আসামি করা হয় সাহেদ করিম ও জনৈক বাচ্চু মাঝি নামে একজনকে। মামলার প্রথম তদন্তকারী নিযুক্ত হন দেবহাটা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) উজ্জ্বল কুমার মৈত্র। 

দুইদিন পর র‌্যাবের উপ-পরিদর্শক (এসআই) রেজাউল করিম তদন্তকারী কর্মকর্তা নিযুক্ত হয়ে সাহেদ করিমকে ১০ দিনের রিমান্ডে নেন। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ২৪ আগস্ট বাচ্চু মাঝির সন্ধান না পেয়ে শুধু সাহেদ করিমকে অভিযুক্ত করে অস্ত্র ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে। সেই মামলায় চার্জগঠন করে সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য করা হলো।

আকরামুল ইসলাম/এসপি