ভোলায় চেয়ারম্যান-মেম্বারদের লক্ষ্য করে গুলি, যুবলীগ নেতা নিহত
ভোলার দৌলতখান উপজেলার মদনপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যদের লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে খোরশেদ আলম টিটু (৩২) নামে এক যুবলীগ নেতা নিহত হয়েছেন। শুক্রবার (২৬ নভেম্বর) সন্ধ্যায় মেঘনা নদীর চেয়ারম্যান বাজার-নাছিরমাঝি নৌপথের হেতনার হাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত খোরশেদ আলম টিটু ভোলা সদর উপজেলার ধনিয়া ইউনিয়ন যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। তিনি ধনিয়া ইউনিয়নের পশ্চিম কানাইনগর গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা তছির আহাম্মদের ছেলে। এ ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।
বিজ্ঞাপন
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ভোলা সদর মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এনায়েত হোসেন জানান, মাঝ নদীতে গুলিবিদ্ধ টিটুকে হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, ভোলার দৌলতখান উপজেলার মদনপুর ইউনিয়নের নবনির্বাচিত ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যরা নিবার্চন পরবর্তী সৌজন্য সাক্ষাৎ অনুষ্ঠানে যান। সেখান থেকে সন্ধ্যায় ফেরার পথে ট্রলারে ভোলা সদরের দিকে যাওয়ার সময় মাঝ নদীতে তাদের ওপর এলোপাতাড়ি গুলি চালায় দুর্বৃত্তরা। এ সময় ট্রলারে থাকা মো. টিটু গুলিবিদ্ধ হয়। তাকে উদ্ধার করে ভোলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
ওই ট্রলারে আওয়ামী লীগের নবনির্বাচিত ইউপি চেয়ারম্যান এ কে এম নাছির উদ্দিন এবং মো. হেলাল, আবদুল খালেক, মো. ইউসুফসহ ওই ইউপির আট সদস্য ও নেতাকর্মীরা ছিলেন।
মদনপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এ কে এম নাছির উদ্দিন জানান, দুপুরে তিনি ভোটার ও কর্মীদের সঙ্গে দেখা করতে ইউপি সদস্যদের নিয়ে মদনপুরে যান। সেখানে আসরের নামাজ পড়ে যাত্রীবাহী একটি ট্রলারে ভোলা সদরে যাচ্ছিলেন। এ সময় মাঝ নদীতে দুর্বৃত্তদের একটি দল স্পিডবোট নিয়ে এসে ট্রলারের দিকে এলাপাতাড়ি গুলি চালায়। এ সময় আমাদের এক কর্মী গুলিবিদ্ধ হন। তাকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, দ্বিতীয় ধাপে গত ১১ নভেম্বর অনুাষ্ঠিত ভোলার দৌলতখান উপজেলার মদনপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. জামাল উদ্দিনকে হারিয়ে তৃতীয়বারের মতো চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন এ কে এম নাছির উদ্দিন।
ইমতিয়াজুর রহমান/আরআই/আরএআর