আশরাফ আলী ও আলতাব হোসেন

লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে দুই সদস্য প্রার্থী মনোনয়নপত্র কিনতে গিয়ে দেখেন ভোটার তালিকায় ওয়ার্ড থেকে তাদের নাম উধাও হয়েছে। এ ঘটনায় ওই দুই প্রার্থী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন দফতরে লিখিত অভিযোগ করেছেন। এ নিয়ে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

জানা গেছে, হাতীবান্ধা উপজেলার ডাউয়াবাড়ী ইউনিয়নের পশ্চিম বিছনদই গ্রামের মৃত আনা উল্লাহর ছেলে আশরাফ আলী ও একই ওয়ার্ডের ছোলেমান গনির ছেলে আলতাব হোসেন জন্মসূত্রে ৬ নং ওয়ার্ডের স্থায়ী বাসিন্দা ও ভোটার। আগামী ২৩ ডিসেম্বর ইউপি নির্বাচনে ওই ওয়ার্ডের সম্ভাব্য সদস্য প্রার্থী হিসেবে দুজনেই গণসংযোগ করে আসছেন। উপজেলা নির্বাচন কার্যালয়ে মনোনয়ন ফরম কিনতে গিয়ে তারা দেখেন, সদ্য প্রকাশিত ভোটার তালিকায় নিজ ওয়ার্ডে তারাসহ একাধিক ভোটারের নাম নেই।

পরবর্তীতে ভোটার তথ্য যাচাই করে দেখেন আশরাফ আলীর ভোট ৬ নং ওয়ার্ড থেকে পার্শ্ববর্তী ৪ নং ওয়ার্ডে এবং আলতাব হোসেনের ভোট ২ নং ওয়ার্ডে স্থানান্তর করা হয়েছে। সে কারণে দুই প্রার্থী আর নির্বাচন করতে পারছেন না।

এ বিষয়ে আশরাফ আলী বলেন, এবারের নির্বাচনে আমি ওয়ার্ড সদস্য প্রার্থী। মেম্বার ও চেয়ারম্যানের প্রত্যয়নপত্র ছাড়া ভোট স্থানান্তর করা যায় না। প্রতিহিংসার কারণে ইউপি সদস্য আক্তারুজ্জামান স্বপন ও চেয়ারম্যান রেজ্জাকুল ইসলাম কায়েদ আমার অজান্তে ভোট স্থানান্তর করেছে। তাই ন্যায় বিচার চেয়ে বৃহস্পতিবার সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।

অন্য প্রার্থী আলতাব হোসেন বলেন, নিজের বসতবাড়ি ৬ নং ওয়ার্ডে। যখন প্রথম ভোটার হয়েছি, তখন থেকে এই ওয়ার্ডে ভোট দিয়ে আসছি। এবার আমি প্রার্থী হয়েছি, গ্রামবাসী সবাই জানে। ভোটে আমার জয় নিশ্চিত জেনে কে বা কারা ষড়যন্ত্র করে আমার ভোট ৬ নং ওয়ার্ড থেকে ২ নং ওয়ার্ডে স্থানান্তর করেছে। নিরুপায় হয়ে সঠিক তদন্ত সাপেক্ষে বিচারের দাবিতে বৃহস্পতিবার অভিযোগ দিয়েছি।

এ বিষয়ে ইউপি সদস্য আক্তারুজ্জামান স্বপন বলেন, এ বিষয়ে আমার কিছু জানা নেই। তাদের ভোট কে স্থানান্তর করেছে, আমি জানি না বলে ফোন কেটে দেন তিনি।

ডাউয়াবাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান রেজ্জাকুল ইসলাম কায়েদ বলেন, আমার জানামতে তাদের বসতবাড়ি ও ভোট ৬ নং ওয়ার্ডে। হয়তোবা কেউ আমার স্বাক্ষর জাল করে প্রত্যয়ন দিয়ে আশরাফ ও আলতাবসহ একাধিক ব্যক্তির ভোট নিজ ওয়ার্ড থেকে অন্য ওয়ার্ডে স্থানান্তর করেছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সামিউল আমিন এ বিষয়ে পৃথক দুটি অভিযোগ পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন। তিনি আরও বলেন, বিষয়টি তদন্ত করে অবশ্যই সমস্যার সমাধান করা হবে।

নিয়াজ আহমেদ সিপন/এনএ