স্বাধীনতার ৫০ বছর পরও মানুষ অনাহারে : জাফরুল্লাহ চৌধুরী
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ভাসানী অনুসারী পরিষদের চেয়ারম্যান ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেছেন, আমাদের দুর্ভাগ্য স্বাধীনতার ৫০ বছর পরও মানুষ অনাহারে আছে, পুষ্টিহীনতায় ভুগছে। জিনিসপত্রের দাম কল্পনাতীতভাবে বাড়ছে।
বুধবার (১৭ নভেম্বর) দুপুরে মওলানা ভাসানীর ৪৫তম মৃত্যুবার্ষিকীতে টাঙ্গাইলে তাঁর মাজারে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে জাফরুল্লাহ চৌধুরী সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
বিজ্ঞাপন
তিনি বলেন, আমাদের নেতা মজলুম জননেতা আজকে আমরা তোমাকে স্মরণ করতে আসিনি। আজকে তোমার কাছে ক্ষমা চাইতে আসছি। ১৯৭২ সালে তুমি বলেছিলে কেউ খাবে কেউ খাবে না, তা হবে না, তা হবে না। দুর্ভাগ্য ৫০ বছর পরও আজকে মানুষ অনাহারে আছে, পুষ্টিহীনতায় ভুগছে। আজকে তুমি যুগস্রষ্টা। তুমি অনেক কিছু দেখতে পেয়েছো, যা আমরা দেখতে পাইনি। ক্ষমতা তোমার লক্ষ্য ছিল না, তোমার লক্ষ্য ছিল মানুষের সুখ, শান্তি ও সেবা।
জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আজকে আমি প্রত্যাশা করেছিলাম আপনি নিজে এই মাজারে আসবেন। যদি দুই সপ্তাহ পৃথিবী ভ্রমণ করতে পারেন, ১০ মিনিটের জন্য হেলিকপ্টারে করে এখানে আসতে পারতেন। ভাসানীর দোয়া নিতে পারতেন। আপনার পিতা বিপদের সময় মওলানার পায়ের তলে এসে বসতেন। আপনারও সময়ে এসেছে এই মাজারে এসে তার কাছ থেকে দোয়া নেওয়ার। আপনি যে কত বড় বিপদে আছেন বুঝতে পারছেন না।
এর আগে জাফরুল্লাহ চৌধুরীর নেতৃত্বে ভাসানী অনুসারী পরিষদ, গণসংহতি আন্দোলন এবং রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ ভাসানীর মাজারে পৌঁছান। পরে তারা মাজারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এ সময় ভাসানী অনুসারী পরিষদের মহাসচিব শেখ রফিকুল ইসলাম, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সদস্য হাসনাত কাইয়ুম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
অভিজিৎ ঘোষ/আরএআর