টাঙ্গাইলে রেজা কিবরিয়া ও নুরের ওপর ছাত্রলীগের হামলা
টাঙ্গাইলের সন্তোষে মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর কবরে শ্রদ্ধা নিবেদনে যাওয়ার পথে গণঅধিকার পরিষদের আহ্বায়ক ড. রেজা কিবরিয়া ও সদস্যসচিব নুরুল হক নুরসহ দলটির নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা করা হয়েছে। মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (মাভাবিপ্রবি) শাখা ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীরা এ হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন রেজা কিবরিয়া।
বুধবার (১৭ নভেম্বর) সকাল ১০টার দিকে এ হামলার ঘটনা ঘটে। হামলায় গণঅধিকার পরিষদের বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন বলে দাবি করা হচ্ছে।
বিজ্ঞাপন
এ বিষয়ে রেজা কিবরিয়া ফেসবুক লাইভে বলেন, ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা পুলিশের উপস্থিতিতে আমাদের ওপর হামলা চালিয়েছে। তিনি তার ফেসবুকের আরেকটি পোস্টে লেখেন, হামলায় দলটির ৪০ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। হামলার সময় পুলিশ নিষ্ক্রিয় ভূমিকা পালন করে বলে অভিযোগ করেন রেজা কিবরিয়া। এ ঘটনায় নিকটবর্তী থানায় গিয়ে মামলা করবেন বলে জানান তিনি।
সংগঠনটির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক শাকিলুজ্জামান বলেন, দুপুর পৌনে ১২টার দিকে মওলানা ভাসানীর মাজারের কাছাকাছি পৌঁছালে ছাত্রলীগের অর্ধশতাধিক নেতা-কর্মী দলীয় স্লোগান দিয়ে আমাদের ওপর হামলা চালান। এতে আমাদের আহ্বায়ক ড. রেজা কিবরিয়া ও সদস্যসচিব নুরুল হক নুরসহ বেশ কয়েকজন নেতা-কর্মী আহত হন।
তিনি আরও অভিযোগ করেন, কয়েক দফায় দেশীয় অস্ত্র দিয়ে এবং ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে আমাদের ওপর হামলা চালানো হয়। প্রায় ৪০ মিনিট পর আমাদের নেতাদের পুলিশের গাড়িতে করে বের করে নেওয়ার সময় ফের হামলা চালানো হয়।
এ ঘটনার পর থেকে ভাসানীর মাজার এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীরা মাজার এলাকায় অবস্থান নিয়েছেন। এ সময় তারা কিবরিয়া ও নুরের বিরুদ্ধে নানা স্লোগান দেন।
এ বিষয়ে মাভাবিপ্রবির ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নিবিড় পাল ঢাকা পোস্টকে বলেন, ভাসানীর মাজারে দলমত-নির্বিশেষে শ্রদ্ধা জানাতে গিয়েছিলাম আমরা। নুর ও তার লোকজন শ্রদ্ধানিবেদন শেষে সরকারবিরোধী বক্তব্য দিচ্ছিল। এ সময় তাদের নিষেধ করা হলে তারা ছাত্রলীগের ওপর চড়াও হয়ে হামলা চালায়।
তিনি আরও বলেন, তারা ব্যানার তৈরি করেছে লাঠিসোটা দিয়ে, যাতে মারামারি করতে পারে! পরে দুপক্ষের মধ্যে হামলা-পাল্টা হামলার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় রানা নামের এক ছাত্রলীগ নেতা আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন বলে জানান নিবিড় পাল।
এ বিষয়ে টাঙ্গাইলের অতিরক্তি পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) সরোয়ার হোসেন বলেন, গণঅধিকার পরিষদের নেতারা মওলানা ভাসানীর মাজারের কাছাকাছি পৌঁছার পর ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ শাখার নেতাকর্মীরা হামলা চালান। পরে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। একপর্যায়ে ড. কিবরিয়া ও নুরসহ গণঅধিকার পরিষদের নেতা-কর্মীদের পুলিশি নিরাপত্তায় ঘটনাস্থল থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে।
এ ঘটনার বিষয়ে পরবর্তীতে সংবাদ সম্মেলন করে আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানানো হবে বলে জানিয়েছেন গণঅধিকার পরিষদের নেতাকর্মীরা।
অভিজিৎ ঘোষ/এনএ/জেএস