স্কুলছাত্রীকে দলবেঁধে ধর্ষণ মামলার মূল আসামি গ্রেফতার
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে নবম শ্রেণির এক ছাত্রীকে (১৫) অপহরণ করে তিন মাস আটকে দলবেঁধে ধর্ষণ ও তা ভিডিও ধারণ করার মামলার প্রধান আসামি মো. কামাল হোসেনকে (৪৫) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (১৬ নভেম্বর) দুপুরে টাঙ্গাইলের সখীপুর থেকে তাকে গ্রেফতার করে বেগমগঞ্জ মডেল থানার পুলিশ।
গ্রেফতার মো. কামাল হোসেন বেগমগঞ্জ উপজেলার নরোত্তমপুর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের মহাজন বাড়ির মৃত জালাল আহমদের ছেলে।
বিজ্ঞাপন
বিষয়টি ঢাকা পোস্টকে নিশ্চিত করেন বেগমগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর জাহেদুল হক রনি।
তিনি বলেন, অভিযুক্ত ধর্ষককে টাঙ্গাইলের সখীপুর থেকে গ্রেফতার হয়। তিনি মামলার ২ নং এজহারনামীয় আসামি। তাকে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আগামীকাল বুধবার সকালে নোয়াখালী চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করা হবে।
এর আগে রোববার (১৪ নভেম্বর) ওই কিশোরী বাদী হয়ে বেগমগঞ্জ মডেল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা করে। পরে পুলিশ স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ভুক্তভোগীকে নোয়াখালী সদর হাসপাতালে পাঠায়।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ওই কিশোরীকে স্কুলে যাওয়া-আসার পথে উত্ত্যক্ত করত একদল বখাটে। বিষয়টি সে তার খালাকে জানালে বখাটেরা আরও খেপে যায়। পরে গত ২৬ আগস্ট সকাল ১০টায় স্কুলে যাওয়ার সময় কিশোরীকে অপহরণ করে এক বাড়িতে আটকে রাখে। পরে দলবেঁধে ধর্ষণের পর ২৮ সেপ্টেম্বর দুপুর ১২টার দিকে সোনাইমুড়ি থেকে বাসে করে ঢাকায় নিয়ে আসে। পরে টাঙ্গাইলের শহিদপুর গ্রামে এক বাড়িতে নিয়ে আটকে রাখে।
এজাহারে আরও জানা যায়, কামাল, নাছের ও ফরহাদ দলবেঁধে ধর্ষণ করত এবং স্থানীয় অজ্ঞাতনামা যুবকদের এনেও তাকে ধর্ষণ করাত। সে অজ্ঞান হয়ে গেলে ওষুধ খাইয়ে একটু সুস্থ করে ফের ধর্ষণ করত। গত ৯ নভেম্বর (মঙ্গলবার) ওই কিশোরী কৌশলে পালিয়ে তার বাড়ি চলে আসে।
জেলা সরকারি সহকারী কৌঁসুলি (এপিপি) অ্যাডভোকেট মোশাররফ হোসেন ঢাকা পোস্টকে বলেন, বাদী যখন আমাকে দিয়ে এজাহার লেখাচ্ছিলেন, তখনো ধর্ষকরা ভুক্তভোগীর মোবাইল ফোনে বারবার কল দিচ্ছিল। এ জঘন্য ঘটনার সর্বোচ্চ বিচার হওয়া দরকার।
হাসিব আল আমিন/এনএ