সিরাজগঞ্জে নির্বাচনী ক্যাম্পে হামলা, নারীসহ আহত ৬
সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার পূর্ণিমাগাতী ইউনিয়নে আসন্ন তৃতীয় ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনকে কেন্দ্র করে স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আল আমিন সরকারের নির্বাচনী অস্থায়ী ক্যাম্পে হামলা, ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় মারধর করে আহত হরা হয়েছে তার কর্মীদের।
রোববার (১৪ নভেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের পুকুর পাড়ে অবস্থিত অস্থায়ী নির্বাচনী ক্যাম্পে এই হামলা ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীর বিরুদ্ধে এ হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগ করেছেন আল আমিন সরকার।
বিজ্ঞাপন
এ ঘটনায় আহতরা হলেন ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম রসুল, স্থানীয় শহীদুল ইসলাম সাবানের স্ত্রী লতা খাতুনসহ আরও তিনজন। তাদের মধ্যে গুরুতর আহত দুজনকে সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
জানা গেছে, নৌকার সমর্থনে একটি মিছিল থেকে আক্রমণ চালিয়ে ভাঙচুর করা হয় নির্বাচনী অফিসের অন্তত ৩০ থেকে ৩৫টি চেয়ার। ছিঁড়ে ফেলা হয় ক্যাম্প ঘেরাওয়ের কাপড়। এ ঘটনায় চরম ভীতি বিরাজ করছে এলাকার সাধারণ ভোটারদের মাঝে।
এ বিষয়ে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. আল আমিন সরকার ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমার প্রতীক মোটরসাইকেলের পক্ষে গণজোয়ার দেখে নৌকার প্রার্থী মো. রেজাউল ইসলাম তপন ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি রাশেদুল হাসান রাশেদের নেতৃত্বে এই হামলা চালানো হয়েছে। তারা যখন দেখছে সাধারণ জনগণ আমাকে এতটা ভালবাসে ও আমাকে আবারও চেয়ারম্যান হিসেবে চায় এবং মোটরসাইকেলের বিজয় নিশ্চিত, তাই তারা সাধারণ ভোটারদের মারধর ও হুমকি-ধমকি দিয়ে ভীতি সৃষ্টির চেষ্টা করছে। এরই অংশ হিসেবে এই হামলা। আমি সঙ্গে সঙ্গে বিষয়টি উল্লাপাড়া মডেল থানা পুলিশকে জানিয়েছি।
পূর্ণিমাগাতী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি এস এম রাশেদুল হাসান রাশেদ এসব অভিযোগ অস্বীকার করে ঢাকা পোস্টকে বলেন, তারাই বরং আমাদের এক কর্মীকে ধাক্কা দিয়ে পানিতে ফেলে দিয়েছে। খবর পেয়ে আমরা ওদিকে গেলে দেখি পুলিশ দাঁড়িয়ে আছে। তারা আমাদের ফিরিয়ে দিলে আমরা চলে আসি। এসব অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
উল্লাপাড়া মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) এনামুল হক ঢাকা পোস্টকে বলেন, এমন একটি ঘটনার খবর পেয়েছি। তবে এখনো কেউ লিখিত অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
উল্লাপাড়া উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মাসুদ রানা ঢাকা পোস্টকে বলেন, বিষয়টি আমি অবগত নই। তবে অভিযোগ পেলে সেই অনুযায়ী ব্যাবস্থা গ্রহণ করব।
শুভ কুমার ঘোষ/এনএ