ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান বলেছেন, রাসুল (সা.) অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র চেয়েছিলেন। যারা সাম্প্রদায়িক উসকানি দেয় এবং জীবন উৎসর্গ করে তারা আসলে মুসলমান নয়। মহানবী (সা.) যেভাবে সব ধর্মের মানুষকে নিয়ে রাষ্ট্র পরিচালনা করেছিলেন, ঠিক সেইভাবে আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সবাইকে নিয়ে অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র গঠনের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যেভাবে অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র চেয়েছিলেন, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও তেমনিভাবে অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র গঠনের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন।

শনিবার (১৩ নভেম্বর) বিকেলে মাগুরার আছাদুজ্জামান মিলনায়তনে আন্তঃধর্মীয় সংলাপে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ধর্ম মন্ত্রণালয়ের ‘ধর্মীয় সম্প্রীতি ও সচেতনতা বৃদ্ধিকরণ’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় জেলা প্রশাসনের আয়োজনে এই সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়।

ধর্ম প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রত্যেকটি মসজিদ প্রশিক্ষিত এবং ভালো ইমাম দিয়ে পরিচালনা করতে হবে। জুমার নামাজের আগে খুতবা পাঠের সময় সঠিকভাবে এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ভিত্তিতে ধর্মীয় বিষয়গুলো আলোচনা করতে হবে। তাহলেই উগ্রবাদীরা ধর্মকে ব্যবহার করে মানুষকে দিয়ে খারাপ কাজ করাতে পারবে না। 

মাগুরার জেলা প্রশাসক ড. আশরাফুল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে আলোচনা করেন মাগুরা-১ আসনের সংসদ সদস্য মো. সাইফুজ্জামান শিখর, মাগুরার পুলিশ সুপার মো. জহিরুল ইসলাম, মাগুরা পৌরসভার মেয়র খুরশীদ হায়দার টুটুল, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পঙ্কজ কুমার কুন্ডু, জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আ খ ম আব্দুল ফাত্তাহ, জেলা ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপ-পরিচালক আকরামুল হক, জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি অ্যাডভোকেট প্রদ্যুৎ কুমার সিংহ, সাধারণ সম্পাদক বাসুদেব কুন্ডু, বিটিভির ইসলাম বিষয়ক অনুষ্ঠানের উপস্থাপক ড. মাওলানা আব্দুল মমিন সিরাজী, মাওলানা মাহফুজুর রহমান, নিতাই গৌর সেবাশ্রমের অধ্যক্ষ চিন্ময়ানন্দ দাস বাবাজী, খ্রিস্টান ধর্মের প্রতিনিধি বিভাস বিশ্বাস প্রমুখ। 

বিকেল পৌনে ৫টার সময় পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত এবং গীতা ও বাইবেল থেকে পাঠের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা হয়ে রাত ৭টা পর্যন্ত সংলাপ চলে।

সংলাপ শেষে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান মাগুরার শত বছরের ঐতিহ্যবাহী কাত্যায়নী মণ্ডপগুলো পরিদর্শন করেন। 

আরএআর