মাছ দেখে ভয় পেলেন জেলে
কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলার আড়িয়াল খাঁ নদে জেলের জালে বিরল প্রজাতির একটি মাছ ধরা পড়েছে। শুক্রবার (১২ নভেম্বর) বিকেলে কটিয়াদি বাজারের পার্শ্ববর্তী আড়িয়াল খাঁ নদ থেকে জেলে সবুজ মিয়ার জালে মাছটি ধরা পড়ে।
জেলে সবুজ মিয়া বলেন, গতকাল বিকেলে জাল দিয়ে মাছ ধরতে আড়িয়াল খাঁ নদে যাই। কয়েকবার জাল ফেলে বিভিন্ন প্রজাতির দেশীয় মাছ পাই। একবার অন্যান্য মাছের সঙ্গে ওই বিরল প্রজাতির মাছটিও জালে ওঠে। কালো রঙয়ের মাছটির মাঝে ডোরাকাটা দাগ রয়েছে। এটি প্রথমে দেখে ভয় পেয়ে যাই। পরে যখন মাছটি বাজারে নিয়ে আসি তখন মানুষজন এটা দেখতে ভিড় করে। তারা মাছটিকে বিভিন্ন নাম দেয়। কেউ বলে রাক্ষুসে মাছ, কেউ বলে পাখি মাছ। পরে একজন মোবাইলে ছবি তুলে ইন্টারনেটে সার্চ করে জানায় এটা ‘সাকার ফিস’।
বিজ্ঞাপন
কটিয়াদী উপজেলার সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মুহাম্মদ দেলোয়ার হোসাইন বলেন, লোকমুখে মাছটি সর্ম্পকে শুনেছি। এটি ‘সাকার ফিস’। এটি দেশীয় কোনো মাছ নয়। মাছটি অনেক সময়ই বিভিন্ন খাল-বিল ও নদী-নালায় জেলেদের জালে ধরা পড়ে। মাছটির জীবনশক্তি অনেক প্রকট। এ মাছটি দেখতে যেমন ভয়ংকর, কাজেও ভয়ংকর। এ মাছটির বংশবিস্তার আমাদের দেশীয় মাছের জন্য হুমকি। মাছটি পানিতে থাকা অবস্থায় আশপাশের ছোট মাছ খেয়ে ফেলে। যদি এমন আরও মাছ এ নদীতে থেকে থাকে তাহলে অন্য দেশীয় মাছের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।
মৎস্য বিশেষজ্ঞদের মতে, সাকার ফিস উন্মুক্ত জলাশয়ে ছড়িয়ে পড়ায় দেশীয় অনেক প্রজাতির মাছ খেয়ে শেষ করে দিচ্ছে। এটি চিংড়ি, কালি বাউস, মাগুর ও শিং মাছসহ ছোট শামুক জাতীয় শক্ত খোলের প্রাণী খেয়ে সাবাড় করে ফেলে।
এসকে রাসেল/আরএআর