ফেসবুকে ভিডিও দিয়ে তরুণীদের মোটরসাইকেল চালাতে উদ্বুদ্ধ করতেন রিয়া

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচিত সিলেটের লেডিবাইকার রিয়াকে মাদক মামলায় ৬ দিনেও গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। পুলিশের দেওয়া তথ্যমতে ও এজাহার অনুযায়ী, পুলিশের ধাওয়ায় পালিয়ে যান লেডি বাইকার রিয়া।

পালিয়ে যাওয়ার পর এতদিনেও গ্রেফতার না হওয়ায় আবার সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকেই। রিয়া রায় সিলেট নগরীর কুমারপাড়ার মন্দিরগলির ঝর্ণারপাড় এলাকার ৬২/এ-এর বাসিন্দা রামু রায়ের মেয়ে।

জানা যায়, সিলেটে রিয়া লেডিবাইকার নামে পরিচিত। টিকটক ও ফেসবুকে ভিডিওবার্তা দিয়ে তরুণীদের মোটরসাইকেল চালাতে উদ্বুদ্ধ করতেন তিনি। আরমান সামী ও রিয়া দুজনই মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। সামী তার গার্লফ্রেন্ড রিয়াকে বাঁচানোর জন্য গত ৭ নভেম্বর রাতে পুলিশের সিগন্যালে না থেমে কিছুটা দূরে গিয়ে রিয়াকে নিরাপদ আশ্রয়ে ছেড়ে পুলিশের কাছে ধরা দেন।

রিয়া রায়কে নিরাপদ আশ্রয়ে ছেড়ে দিলেও তাদের প্রাইভেট গাড়িতে থেকে যায় মাদকদ্রব্য। এরপর পুলিশ গাড়ি তল্লাশি করে ইয়াবা, মদ ও গাঁজা উদ্ধার করে। গ্রেফতার সামী নগরীর মিরাপাড়ার শামসুল ইসলামের ছেলে।

এ ঘটনায় পরদিন ৮ নভেম্বর সিলেট এয়ারপোর্ট থানার এসআই গৌতম চন্দ্র দাশ বাদী হয়ে মাদক মামলায় রিয়া ও তার বয়ফ্রেন্ড আরমান সামীকে আসামি করেন।

মামলার অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে চাইলে এয়ারপোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাইনুল জাকির ঢাকা পোস্টকে বলেন, তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছি। তাকে গ্রেফতারের জন্য আমরা সব পন্থা অবলম্বন করছি। যেকোনো সময় সে পুলিশের খাঁচায় বন্দি হবে।

এমএসআর