স্বাধীনতার ৫০ বছর পর কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর উপজেলার হুমাইপুর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী নির্বাচিত হয়েছেন। উপজেলার অন্য ১০ ইউপিতেও আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী নির্বাচিত হয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (১১ নভেম্বর) দ্বিতীয় ধাপের ইউপি নির্বাচনে বাজিতপুর উপজেলার ১১ ইউপিসহ জেলার ২৯ ইউপিতে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে।  

জানা গেছে, স্বাধীনতার ৫০ বছর পর এই প্রথম বাজিতপুর উপজেলার হুমাইপুর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনীত কোনো প্রার্থী চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। এই নির্বাচনকে ঐতিহাসিক ঘটনা হিসেবে দেখছেন এলাকার জনগণ। স্বাধীনতার আগে ও পরে হুমাইপুর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ থেকে কেউ চেয়ারম্যান নির্বাচিত হতে পারেনি। এ নির্বাচনর আগে পূর্ব পাকিস্তানের গভর্নর আব্দুল মোনেম খানের ভাতিজা ফজলুল করিম খান তিনবার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। তিনবার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন শফিউল হক, (সাম্যবাদী দল), একবার ইসরাইল খান (জাতীয় পার্টি), একবার কাইয়ুন খান হেলাল ও মানিক মিয়া (বিএনপি)।

বেসরকারিভাবে পাওয়া ফলাফলে বাজিতপুর উপজেলার হুমাইপুর ইউনিয়নে রফিকুল ইসলাম, দিলালপুর ইউনিয়নে গোলাম কিবরিয়া নোভেল, বলিয়ারদি ইউনিয়নে আবুল কাশেম, সরারচর ইউনিয়েন হাবিবুর রহমান, হালিমপুর ইউনিয়নে ওমর ফারুক (রাসেল), হিলচিয়া ইউনিয়নে মাজহারুল হক নাহিদ, দিঘীরপাড় ইউনিয়নে আ. কাইয়ুম, পিরিজপুর ইউনিয়েন মো. জাফর ইকবাল, মাইজচর ইউনিয়নে তবারক মিয়া, গাজিরচর ইউনিয়নে মো. জুয়েল মিয়া ও কৈলাগ ইউনিয়নে মো. কায়ছার-এ-হাবীব। 

তবে তিন ইউপিতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আওয়ামী লীগের প্রার্থী চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তিন ইউপি হলো- উপজেলার হালিমপুর, বলিয়ারদী ও মাইজচর।

উল্লেখ্য, দ্বিতীয় ধাপের ইউপি নির্বাচনে কিশোরগঞ্জের ২৯ ইউপির ২০টিতে আওয়ামী লীগ, চারটিতে জাতীয় পার্টি ও পাঁচটিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী জয় লাভ করেছেন।

এসকে রাসেল/এসপি