পুতুল রানী দাস

টানা চারবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলার নাসিরনগর সদর ইউনিয়ন পরিষদের ৭, ৮ ও ৯ নম্বর সংরক্ষিত ওয়ার্ডের সদস্য নির্বাচিত হন পুতুল রানী দাস। তিনি এবার নৌকা প্রতীকে নাসিরনগর সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।

এর ফলে প্রথম নারী চেয়ারম্যান পেল নাসিরনগর সদর ইউনিয়নবাসী। আওয়ামী লীগের মনোনয়ন নিয়ে নৌকা প্রতীকে ৪ হাজার ৮৭৮ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে বির্বাচিত হয়েছেন তিনি। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী শেখ মো. আব্দুল আহাদ আনারস প্রতীকে পেয়েছেন ৩ হাজার ৪৪৮ ভোট।

নাসিরনগর সদর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে দলীয় মনোনয়ন দেওয়ার জন্য পুতুল রানী দাসের নাম কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের কাছে সুপারিশ করে পাঠায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগ। তবে প্রথমে তাকে মনোনয়ন না দিয়ে বর্তমান চেয়ারম্যান আবুল হাশেমকে মনোনয়ন দেওয়া হয়।

আবুল হাশেম বহুল আলোচিত নাসিরনগর সাম্প্রদায়িক হামলা মামলার চার্জশিটভুক্ত আসামি। সেজন্য তাকে মনোনয়ন দেওয়ায় তীব্র সমালোচনা শুরু হয়। পরবর্তীতে হাশেমের মনোনয়ন বাতিল করে পুতুল রানী দাসকে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন দেওয়া হয়।

গতকাল বৃহস্পতিবার নাসিরনগর উপজেলার ১৩টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। একমাত্র নারী চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে আলোচনার কেন্দ্রে ছিলেন পুতুল রানী দাস। তিনিও জয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী ছিলেন।

নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার পর পুতুল রানী দাস বলেন, ‘প্রথমবারের মতো চেয়ারম্যান হয়েছি। আবার নাসিরনগর সদরেরও প্রথম নারী চেয়ারম্যান। এ আনন্দ-অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না। আমার ওপর আস্থা রেখে মনোনয়ন দেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ আসনের সংসদ সদস্য বিএম ফরহাদ হোসেন সংগ্রামের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।’

‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নারীদের সামনে এগিয়ে নেওয়ার জন্য অনেক কাজ করছেন। আমি চেষ্টা করব প্রধানমন্ত্রীর সম্মান অক্ষুণ্ন রেখে নিজের সবটুকু দিয়ে জনগণের পাশে থেকে তাদের জন্য কাজ করতে’ যোগ করেন চেয়ারম্যান পুতুল।

আজিজুল সঞ্চয়/এমএসআর