নরসিংদীতে দ্বিতীয় ধাপের ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নির্বাচনী সহিংসতায় তিন দফায় মোট ৯ জনের প্রাণহানি হয়েছে। এর মধ্যে নরসিংদী সদর উপজেলায় তিনজন এবং রায়পুরা উপজেলায় দুই দফায় ছয়জন নিহত হন। এ ছাড়া আহত হয়েছেন অর্ধশতাধিক।

জানা যায়, গত ২৮ অক্টোবর দ্বিতীয় ধাপের এই ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এবং দীর্ঘদিন ধরে আধিপত্য বিস্তারের জেরে রায়পুরার পাড়াতলী ইউনিয়নের কাচারিকান্দি এলাকার বড় শাহ আলম ও ছোট শাহ আলম গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে টেঁটা ও গুলিবিদ্ধ হয়ে কাচারিকান্দি এলাকার সাদিব মিয়া (১৯) এবং হিরণ মিয়া (৩৫) মারা যান। এ সময় আহত হয়েছেন আরও আটজন।

এ ঘটনার পাঁচ দিন পর একই ঘটনায় আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া সুলমান মিয়া (৪৫) নামের আরও একজনের মৃত্যু হয়।

এরপর গত ৪ নভেম্বর সকালে সদর উপজেলার আলোকবালীতে ১১ নভেম্বরের ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দুই সদস্য প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষ হয়। ওই দিন ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের সদস্য প্রার্থী রিপন মোল্লা (ফুটবল) ও আবু খায়ের (মোরগ) গ্রুপের সংঘর্ষ হলে আমির হোসেন (৪৫), আশরাফুল মিয়া (২২) ও খুশি বেগম (৫০) নামের মোট তিনজন মারা যান। সংঘর্ষের ঘটনায় কমপক্ষে আরও ৮ জন গুরুতর আহত হন।

সর্বশেষ ১১ নভেম্বর ভোরে রায়পুরার বাঁশগাড়িতে ইউপি নির্বাচন ঘিরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ হয়। এ সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে মো. সালাউদ্দিন (৩০), জাহাঙ্গীর (২৬) ও দুলাল মিয়া (৩৫) নামের তিনজনের মৃত্যু হয়।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, বাঁশগাড়ি ইউপিতে নৌকার প্রার্থী আশরাফুল হক সরকার ও স্বতন্ত্র প্রার্থী জাকিরের (মোবাইল ফোন) সমর্থকদের মধ্যে কয়েক দিন ধরেই এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছিল। বুধবার সন্ধ্যায় দুই গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। সারা রাত থেমে থেমে সংঘর্ষ চলে। সকালে এ সংঘর্ষের ঘটনায় দুজন নিহত হয়।

রায়পুরা সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার সত্যজিত কুমার ঘোষ বলেন, দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচনের দিন বৃহস্পতিবার ভোরে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে প্রথমে দুলাল মিয়া (৫০) নামের একজন নিহত হয়েছেন বলে জেনেছি। পরে আরও দুজনসহ মোট তিনজন নিহতের ব্যাপারে নিশ্চিত হয়েছি আমরা।

রাকিবুল ইসলাম/এনএ